নাইটগার্ড যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১ ২০১ বার পড়া হয়েছে
রঞ্জিত রামাচন্দ্রন : ছবি সংগ্রহ
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
আজকের নায়ক রঞ্জিত রামাচন্দ্রন নাইটগার্ড থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে ওঠার গল্পের। যে নাকী একমুঠো অন্নের জন্য রাতভর পাহাদারের কাজ করেছেন। আবার দিনের বেলা লেখাপড়া চালিয়েছেন। সেই রঞ্জিতই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। নিজের জীবনের উৎড়ানোর গল্পটা নিজের ফেসবুকে লিখেছেন।
লিখেছেন সকালে পড়তেন কলেজে। আর দুমুঠো খাওয়ার জন্য রাতে কাজ করতে হতো স্থানীয় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে। সেখানেই নাইটগার্ডের কাজ করতেন রঞ্জিত রামাচন্দ্রন। এভাবেই কাটত তাঁর ২৪ ঘণ্টা। সেই রঞ্জিত এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। নৈশপ্রহরীর কাজ করেই স্বপ্ন পূরণ তার।
সম্প্রতি নিজের জীবনের সংগ্রামের এ কাহিনি জানিয়েছেন রঞ্জিত নিজেই। পিটিআইয় এই খবর দিয়েছে। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে রঞ্জিত বলেছেন, কাসরাগোডের পানাথুরের বিএসএনএল কোম্পানির টেলিফোন এক্সচেঞ্জে নাইপগার্ডের কাজ করতেন এবং জেলার পায়াস টেনথ কলেজে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকে পড়তেন। সেই পড়াশোনা শেষ করে মাদ্রাজে গিয়েছিলেন।
৯ এপ্রিল ফেসবুক পোস্ট রঞ্জিত লিখেছেন, মাদ্রাজে উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়েই গ্যাঁড়াকলে পড়েছিলেন। তখন পর্যন্ত মালায়ালম ছাড়া অন্য কোনো ভাষা জানতেন না রঞ্জিত। সেই সঙ্গে ছিল জীবিকার তাড়না। একপর্যায়ে পিএইচডির পড়াশোনাও ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন।
এঅবস্থায় তাঁকে উৎসাহ দিয়েছিলেন সুভাষ নামের এক শিক্ষক। আর সেই উৎসাহেই এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
এক পর্যায়ে গত বছর নিজের ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং বর্তমানে বেঙ্গালুরুর ক্রাইস্ট ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ২৮ বছর বয়সী রঞ্জিত রামাচন্দ্রন। পিএইচডি করার সময়কার কঠিন পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে রঞ্জিত লিখেছেন, আমি তখন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং নিজের স্বপ্ন অনুধাবন করতে পারি।
ফেসবুক পোস্টটিতে নিজের জীবনের কাহিনি জানিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো তা অনেককে অনুপ্রেরণা দিতে পারে। আমি চাই, সবাই ভালো স্বপ্ন দেখুক এবং নিজেদের স্বপ্নের জন্য লড়াই করুক। আমি চাই, অন্যরা এ থেকে অনুপ্রেরণা পাক এবং নিজেদের সাফল্যকে খুঁজে নিক।