ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নাইজারে দুই চীনা খনি শ্রমিক অপহৃত

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১ ১০৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাইজারে একটি খনি কোম্পানিতে কাজে যুক্ত থাকা দুই চীনা নাগরিককে অপহৃত করা হয়েছে। মূলত সোনা এবং ইউরেনিয়াম খোঁজার দায়িত্বে ছিলেন তারা। সন্ত্রাসীদের হাতেই তারা অপহৃত হয়েছেন।

শনিবার রাতে মালি, নাইজার এবং বুরকিনা ফাসোর সীমান্ত অঞ্চল থেকে অপহরণ করা হয় তাদের। কারা অপহরণ করেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে নাইজারের অঞ্চলের গভর্নর সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে একাধিক সন্ত্রাসী দল সক্রিয়।

আইএস, আল কায়দা এবং বোকো হারামের সদস্যরা ওই অঞ্চলে বসবাস করে। বিভিন্ন সময় তারা নানা অঘটন ঘটায়। এই অপহরণের ঘটনাতেও এরকমই কোনো দলের হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কেন দুই চীনা খনি কর্মীকে অপহরণ করা হলো, তা স্পষ্ট নয়। তবে ওই অঞ্চলে যে তাদের প্রাণসংশয় আছে, আগেই তা জানানো হয়েছিল। সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেই সোনা এবং ইউরেনিয়ামের খোঁজ চালাচ্ছিলেন তারা। সম্ভবত সেই কারণেই তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

নাইজার, মালি এবং বুরকিনা ফাসোর ওই সীমান্ত অঞ্চলে সোনার মজুত আছে। ইউরেনিয়ামও আছে। এছাড়াও তেল এবং অন্য খনিজের বিপুল সম্ভার আছে। চীন দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলে সক্রিয়। একাধিক খনি আছে তাদের। এই অঞ্চল থেকে কোবাল্টও সংগ্রহ করে তারা। পাশাপাশি আকরিক লোহাও সংগ্রহ করা হয়। চীনের বিপুল ইলেকট্রনিক বাজারের জন্য এখান থেকেই কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চীনকে খনিজ সম্পদ সংগ্রহে বাধা দিতেই এ কাজ করেছে কোনো একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।

এর আগে ২০০৭ সালে চীনের এক খনি কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এবার অবশ্য, কোনো সংগঠনই অপহরণের কথা স্বীকার করেনি। নাইজার সরকার বিষয়টি দেখছে বলে স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নাইজারে দুই চীনা খনি শ্রমিক অপহৃত

আপডেট সময় : ০৬:১৮:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

নাইজারে একটি খনি কোম্পানিতে কাজে যুক্ত থাকা দুই চীনা নাগরিককে অপহৃত করা হয়েছে। মূলত সোনা এবং ইউরেনিয়াম খোঁজার দায়িত্বে ছিলেন তারা। সন্ত্রাসীদের হাতেই তারা অপহৃত হয়েছেন।

শনিবার রাতে মালি, নাইজার এবং বুরকিনা ফাসোর সীমান্ত অঞ্চল থেকে অপহরণ করা হয় তাদের। কারা অপহরণ করেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে নাইজারের অঞ্চলের গভর্নর সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে একাধিক সন্ত্রাসী দল সক্রিয়।

আইএস, আল কায়দা এবং বোকো হারামের সদস্যরা ওই অঞ্চলে বসবাস করে। বিভিন্ন সময় তারা নানা অঘটন ঘটায়। এই অপহরণের ঘটনাতেও এরকমই কোনো দলের হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কেন দুই চীনা খনি কর্মীকে অপহরণ করা হলো, তা স্পষ্ট নয়। তবে ওই অঞ্চলে যে তাদের প্রাণসংশয় আছে, আগেই তা জানানো হয়েছিল। সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেই সোনা এবং ইউরেনিয়ামের খোঁজ চালাচ্ছিলেন তারা। সম্ভবত সেই কারণেই তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

নাইজার, মালি এবং বুরকিনা ফাসোর ওই সীমান্ত অঞ্চলে সোনার মজুত আছে। ইউরেনিয়ামও আছে। এছাড়াও তেল এবং অন্য খনিজের বিপুল সম্ভার আছে। চীন দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলে সক্রিয়। একাধিক খনি আছে তাদের। এই অঞ্চল থেকে কোবাল্টও সংগ্রহ করে তারা। পাশাপাশি আকরিক লোহাও সংগ্রহ করা হয়। চীনের বিপুল ইলেকট্রনিক বাজারের জন্য এখান থেকেই কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চীনকে খনিজ সম্পদ সংগ্রহে বাধা দিতেই এ কাজ করেছে কোনো একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।

এর আগে ২০০৭ সালে চীনের এক খনি কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এবার অবশ্য, কোনো সংগঠনই অপহরণের কথা স্বীকার করেনি। নাইজার সরকার বিষয়টি দেখছে বলে স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন।