ঢাকা ১২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদীর নাব্য ধরে রাখতে স্থায়ী ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০ ৪৮২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস রিপোর্ট

নদীর নাব্য ধরে রাখতে ড্রেজিংয়ের স্থায়ী পরিকল্পনার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নদীতে জেগে ওঠা চরের কারণে যেসব নদীপথ পরিবর্তন হয় বা ভাঙ্গণের সৃষ্টি হয়, তা চিহ্নিত করে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে গণভবন হতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে এনইসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে তিনি বলেন, ড্রেজিংয়ের বিষয়ে যেসব প্রকল্প আছে সেগুলো দ্রুত একনেকে উপস্থাপনের জন্য অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ড্রেজিংয়ের বিষয়ে একটা স্থায়ী পরিবর্তন এবং নিয়মিত ব্যবস্থাপনার জন্য স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এখন ক্যাপিটাল ড্রেজিং থেকে মেইনট্যানেন্স ড্রেজিং এ যেতে হবে। নদীর প্রবাহ বা পানি ব্যবস্থাপনার ওপর প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫৬০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর ডান তীর ভাঙ্গন হতে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটাগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, একনেক সভায় ২ হাজার ৪৫৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৬৬৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৮২ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস হতে প্রকল্প সাহায্য পাওয়া যাবে ৬০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।’

অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্য দু’টি নতুন ও দু’টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটাগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্পের বিষয়ে জানান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড অক্টোবর ২০২০ হতে জুন, ২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো-যমুনা নদীর ডান তীরে প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত আবাসিক ভবন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাট-বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সরকারি বেসরকারি অবকাঠামো, ফসলি ও কৃষি জমি, রাস্তা ঘাট রক্ষাসহ আনুমানিক ৪ হাজার ৩৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পদ নদী ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা।

জাকির হোসেন বলেন, প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৬ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ, ১২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ এবং ১ দশমিক ১৫ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত নদী তীর সংরক্ষণ কাজ পুনর্বাসন ও শক্তিশালীকরণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ জেলা বন্যা হতে রক্ষা পাবে। মাছের আহরণোত্তর অপচয় হ্রাস করার লক্ষ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে মানসম্পন্ন শুটকি মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে একনেক সভায় ১৯৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কক্সবাজার জেলায় শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো-আধুনিক পদ্ধতিতে বছরে প্রায় ১৪ হাজার মেট্রিক টন মানসম্পন্ন শুটকি মাছ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনার জন্য কক্সবাজারের খুরুশকূলে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শুটকি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের শুটকির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা ও ৪ হাজার ৬০৯টি জেলে পরিবারের কর্মসংস্থান তৈরি।

জাকির হোসেন জানান, প্রকল্পের আওতায় ২৫’শ বর্গমিটার আয়তনের অবতরণ শেড নির্মাণ, ১৮’শ ৬০ বর্গমিটার আয়তনের ৪ তলা বিশিষ্ট ল্যাব, অফিস, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম ডরমেটরি নির্মাণ, ১০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন কোল্ড স্টোরেজ ,২টি ওয়ে ব্রীজ, ৩৫০টি গ্রীন হাউজ মেকানিক্যাল ড্রায়ার এবং ৩০টি মেকানিক্যাল ড্রায়ার ইত্যাদি স্থাপন করা হবে। মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানুয়ারি ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া অনুশাসনের বিষয়ে পরিকল্পনা সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী নদী খনন ও বড় বড় নদীর নাব্যতা রক্ষায় সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে তিনি নদীর বালুচর চিহ্নিত এবং খননের নির্দেশ দেন। তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী বাফার জোন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আগামীতে একনেকে নদী খনন প্রকল্প উপস্থাপন ও নদী খননের জন্য স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলেন।

আসাদুল ইসলাম জানান, সামনের শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে এই আশংকা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ ও মাস্ক পরার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। একনেকে অনুমোদিত অন্য দু’টি প্রকল্প হলো-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘দোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল জেলা মহাসড়কে একস্তর নীচু দিয়ে উভয় পার্শ্বে পৃথক সার্ভিস লেনসহ ৪-লেনে উন্নীতকরণ (ডাঙ্গা বাজার-ইসলামপুর লিংকসহ) (১ম সংশোধিত) এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘আমিনবাজার-মাওয়া-মংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নদীর নাব্য ধরে রাখতে স্থায়ী ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০

ভয়েস রিপোর্ট

নদীর নাব্য ধরে রাখতে ড্রেজিংয়ের স্থায়ী পরিকল্পনার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নদীতে জেগে ওঠা চরের কারণে যেসব নদীপথ পরিবর্তন হয় বা ভাঙ্গণের সৃষ্টি হয়, তা চিহ্নিত করে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে গণভবন হতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে এনইসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে তিনি বলেন, ড্রেজিংয়ের বিষয়ে যেসব প্রকল্প আছে সেগুলো দ্রুত একনেকে উপস্থাপনের জন্য অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ড্রেজিংয়ের বিষয়ে একটা স্থায়ী পরিবর্তন এবং নিয়মিত ব্যবস্থাপনার জন্য স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এখন ক্যাপিটাল ড্রেজিং থেকে মেইনট্যানেন্স ড্রেজিং এ যেতে হবে। নদীর প্রবাহ বা পানি ব্যবস্থাপনার ওপর প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫৬০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর ডান তীর ভাঙ্গন হতে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটাগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, একনেক সভায় ২ হাজার ৪৫৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৬৬৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৮২ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস হতে প্রকল্প সাহায্য পাওয়া যাবে ৬০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।’

অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্য দু’টি নতুন ও দু’টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটাগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্পের বিষয়ে জানান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড অক্টোবর ২০২০ হতে জুন, ২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো-যমুনা নদীর ডান তীরে প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত আবাসিক ভবন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাট-বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সরকারি বেসরকারি অবকাঠামো, ফসলি ও কৃষি জমি, রাস্তা ঘাট রক্ষাসহ আনুমানিক ৪ হাজার ৩৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পদ নদী ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা।

জাকির হোসেন বলেন, প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৬ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ, ১২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ এবং ১ দশমিক ১৫ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত নদী তীর সংরক্ষণ কাজ পুনর্বাসন ও শক্তিশালীকরণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ জেলা বন্যা হতে রক্ষা পাবে। মাছের আহরণোত্তর অপচয় হ্রাস করার লক্ষ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে মানসম্পন্ন শুটকি মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে একনেক সভায় ১৯৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কক্সবাজার জেলায় শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো-আধুনিক পদ্ধতিতে বছরে প্রায় ১৪ হাজার মেট্রিক টন মানসম্পন্ন শুটকি মাছ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনার জন্য কক্সবাজারের খুরুশকূলে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শুটকি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের শুটকির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা ও ৪ হাজার ৬০৯টি জেলে পরিবারের কর্মসংস্থান তৈরি।

জাকির হোসেন জানান, প্রকল্পের আওতায় ২৫’শ বর্গমিটার আয়তনের অবতরণ শেড নির্মাণ, ১৮’শ ৬০ বর্গমিটার আয়তনের ৪ তলা বিশিষ্ট ল্যাব, অফিস, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম ডরমেটরি নির্মাণ, ১০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন কোল্ড স্টোরেজ ,২টি ওয়ে ব্রীজ, ৩৫০টি গ্রীন হাউজ মেকানিক্যাল ড্রায়ার এবং ৩০টি মেকানিক্যাল ড্রায়ার ইত্যাদি স্থাপন করা হবে। মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানুয়ারি ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া অনুশাসনের বিষয়ে পরিকল্পনা সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী নদী খনন ও বড় বড় নদীর নাব্যতা রক্ষায় সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে তিনি নদীর বালুচর চিহ্নিত এবং খননের নির্দেশ দেন। তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী বাফার জোন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আগামীতে একনেকে নদী খনন প্রকল্প উপস্থাপন ও নদী খননের জন্য স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলেন।

আসাদুল ইসলাম জানান, সামনের শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে এই আশংকা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ ও মাস্ক পরার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। একনেকে অনুমোদিত অন্য দু’টি প্রকল্প হলো-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘দোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল জেলা মহাসড়কে একস্তর নীচু দিয়ে উভয় পার্শ্বে পৃথক সার্ভিস লেনসহ ৪-লেনে উন্নীতকরণ (ডাঙ্গা বাজার-ইসলামপুর লিংকসহ) (১ম সংশোধিত) এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘আমিনবাজার-মাওয়া-মংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।