ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
অমর একুশে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নজির গড়ল নড়াইল। এখানে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোপ মাঠের নড়াইল লাখো মোমের আলোয় স্মরণ করল ভাষা শহিদদের। মোমের আলোয় কোথাও শহীদ মিনার, কোথাও জাতীয় স্মৃতিসৌধ আবার কোথাও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত নানা অবকাঠামো। রবিবার সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে ওঠে এক লাখ মোমবাতি।
এই আয়োজন জেলা একুশ উদযাপন পর্ষদের উদ্যোগে। সন্ধ্যা ঠিক সাড়ে ছয়টায় কলেজ মাঠে মোমবাতি প্রজ্জলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একুশ উদযাপন পর্ষদের সভাপতি ও সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুন্সি হাফিজুর রহমান।
সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.রবিউল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস বোস, পৗর মেয়র আনজুমান আরা, একুশ উদযাপন পর্ষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট নাট্যকার কচি খন্দকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, একুশের আলোয় দূর হোক সাম্প্রদায়িক শক্তি। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জেগে উঠুক এ প্রজন্ম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ আর জয় বাংলার শ্লোগানকে নিজের বুকে ধারণ করুক। চেতনাকে শানিত করুক দেশ গড়ার কাজে।
মোমবাতি প্রজ্জলনের সঙ্গে সঙ্গে মাঠের এক কোণায় স্থাপিত মঞ্চে অমর একুশের গান দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান চলে মোমবাতি জ্বলার সময়কাল পর্যন্ত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল পৌর কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু।
মুজিব বর্ষে এবারের অনুষ্ঠান উৎসর্গ করা হয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ভাষা শহীদদের নামে। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে। ১০০আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক নিরাপত্তাসহ অনুষ্ঠান পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেন।