ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ৩০ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ডই : আইনমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০২০ ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

সমসাময়িক সময়ে লাগাতারভাবে নারী ও শিশু নির্যাতন বেড়েছে। ধর্ষণকান্ডে দেশের প্রায় স্থানেই প্রতিদিন কোন না কোন কর্মসূচি চলছে। এসব কর্মসূচি ঘিরে স্বাধীনতা বিরোধীরা সক্রিয় হচ্ছে। এমন অভিযোগও ওঠছে। সামাজিক আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে ওত পেতে থাকা সুযোগ সন্ধ্যানীরা বেড়িয়ে আসার চেষ্টা করছে। ধর্ষণকান্ডে যখন আন্দোলন তুঙ্গে, শাস্তির দাবিতে রাজপথ সরগম, ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোষণা আসলো ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ডই। বৃহস্ডতিবার বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন,

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে একটি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হচ্ছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পর আইন সংশোধনের এই উদ্যোগ  নেওয়ার কথা জানান আইনমন্ত্রী।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দেশে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনার পর ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবিতে আন্দোলনের মুখে সরকার শাস্তি বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের জন্য একটি প্রস্তাব আগামী মন্ত্রিসভা বৈঠকে যাচ্ছে। মূলত আইনের ৯(১) ধারায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ধারায় ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করে প্রস্তাব দেওয়া হবে। আইনের আরও কয়েকটি স্থানেও ছোট ছোট পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলেও জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ডই : আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:২৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০২০

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

সমসাময়িক সময়ে লাগাতারভাবে নারী ও শিশু নির্যাতন বেড়েছে। ধর্ষণকান্ডে দেশের প্রায় স্থানেই প্রতিদিন কোন না কোন কর্মসূচি চলছে। এসব কর্মসূচি ঘিরে স্বাধীনতা বিরোধীরা সক্রিয় হচ্ছে। এমন অভিযোগও ওঠছে। সামাজিক আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে ওত পেতে থাকা সুযোগ সন্ধ্যানীরা বেড়িয়ে আসার চেষ্টা করছে। ধর্ষণকান্ডে যখন আন্দোলন তুঙ্গে, শাস্তির দাবিতে রাজপথ সরগম, ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোষণা আসলো ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ডই। বৃহস্ডতিবার বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন,

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে একটি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হচ্ছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পর আইন সংশোধনের এই উদ্যোগ  নেওয়ার কথা জানান আইনমন্ত্রী।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দেশে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনার পর ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবিতে আন্দোলনের মুখে সরকার শাস্তি বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের জন্য একটি প্রস্তাব আগামী মন্ত্রিসভা বৈঠকে যাচ্ছে। মূলত আইনের ৯(১) ধারায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ধারায় ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করে প্রস্তাব দেওয়া হবে। আইনের আরও কয়েকটি স্থানেও ছোট ছোট পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলেও জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।