ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেড় মাস পর চালু হচ্ছে ট্রেন, লঞ্চ ও দূরপাল্লার বাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বস্তি ফিরেছে যাত্রী ও পরিবহন সংশ্রিষ্টদের মধ্যে 

দেড় মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন, লঞ্চ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হচ্ছে। যাত্রীদের অবশ্যই সরকারী নির্দেশনা মেনে প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। গণপরিবহণের এই তিন মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ যাতায়ত করে থাকে। যদিও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বিধিনিষেধ বাড়লেও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে আন্তঃজেলাসহ সবধরনের গণপরিবহন। রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রকের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ৩০ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হলেও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। সেক্ষেত্রে জনগণকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ৫০ শতাংশ টিকিটের সবটাই বিক্রি হবে অনলাইনে। শুরুতে ২৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এরপর ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে। গণপরিবহন ও লঞ্চ চলাচলের খবরে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রুখতে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী লঞ্চ চালু হওয়ার খবরে নৌশ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

এদিন থেকে ফের কর্মচাঞ্চল্য দেখা দেবে দেশের সকল নৌবন্দর ও লঞ্চঘাটে। দীর্ঘ দেড়মাস নোঙর করে রাখা নৌযান, বাস ও ট্রেন ধোয়ামোছার কাজ শুরু করে দিয়েছেন শ্রমিকেরা। সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা দ্রুত কর্মস্থলে পৌছাতে শুরু করেছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে পর ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বিধিনিষেধের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। পর্যায়ক্রমে তা বাড়িয়ে ২৩ মে পর্যন্ত বহালের সিদ্ধান্ত হয়। সেই বিধিনিষেধ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল করতে পারে।

রেলপথ মন্ত্রকের তরফে দেওয়া সংবাদ বার্তায় বলা হয়েছে, সোমবার ২৮ জোড়া আন্ত:নগর ট্রেন ও ৯ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। করোনার প্রাদূর্ভাবের রুখতে ৫ এপ্রিল থেকে রেলওয়ে সকল ধরণের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকে ট্রেনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মাস্ক পরতে হবে।

২৪ মে থেকে যেসব ট্রেন চলাচল করবে, তার মধ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি/তূর্ণা, মহানগর প্রভাতী/তূর্ণা, তিস্তা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, উপকুল এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, রুপসা এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, তিতুমীর এক্সপ্রেস, সাগরদাড়ী এক্সপ্রেস, ঢালারচর এক্সপ্রেস, টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস।

মেইল ও কমিউটার ট্রেন হচ্ছে, কর্ণফুলী কমিউটার, সাগরিকা কমিউটার, বলাকা কমিউটার, জামালপুর কমিউটার, ঢাকা কমিউটার, রকেট মেইল , মহানন্দা এক্সপ্রেস, পদ্মরাগ কমিউটার, উত্তরা এক্সপ্রেস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দেড় মাস পর চালু হচ্ছে ট্রেন, লঞ্চ ও দূরপাল্লার বাস

আপডেট সময় : ০৭:১৯:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

স্বস্তি ফিরেছে যাত্রী ও পরিবহন সংশ্রিষ্টদের মধ্যে 

দেড় মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন, লঞ্চ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হচ্ছে। যাত্রীদের অবশ্যই সরকারী নির্দেশনা মেনে প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। গণপরিবহণের এই তিন মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ যাতায়ত করে থাকে। যদিও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বিধিনিষেধ বাড়লেও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে আন্তঃজেলাসহ সবধরনের গণপরিবহন। রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রকের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ৩০ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হলেও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। সেক্ষেত্রে জনগণকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ৫০ শতাংশ টিকিটের সবটাই বিক্রি হবে অনলাইনে। শুরুতে ২৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এরপর ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে। গণপরিবহন ও লঞ্চ চলাচলের খবরে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রুখতে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী লঞ্চ চালু হওয়ার খবরে নৌশ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

এদিন থেকে ফের কর্মচাঞ্চল্য দেখা দেবে দেশের সকল নৌবন্দর ও লঞ্চঘাটে। দীর্ঘ দেড়মাস নোঙর করে রাখা নৌযান, বাস ও ট্রেন ধোয়ামোছার কাজ শুরু করে দিয়েছেন শ্রমিকেরা। সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা দ্রুত কর্মস্থলে পৌছাতে শুরু করেছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে পর ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বিধিনিষেধের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। পর্যায়ক্রমে তা বাড়িয়ে ২৩ মে পর্যন্ত বহালের সিদ্ধান্ত হয়। সেই বিধিনিষেধ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল করতে পারে।

রেলপথ মন্ত্রকের তরফে দেওয়া সংবাদ বার্তায় বলা হয়েছে, সোমবার ২৮ জোড়া আন্ত:নগর ট্রেন ও ৯ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। করোনার প্রাদূর্ভাবের রুখতে ৫ এপ্রিল থেকে রেলওয়ে সকল ধরণের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকে ট্রেনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মাস্ক পরতে হবে।

২৪ মে থেকে যেসব ট্রেন চলাচল করবে, তার মধ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি/তূর্ণা, মহানগর প্রভাতী/তূর্ণা, তিস্তা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, উপকুল এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, রুপসা এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, তিতুমীর এক্সপ্রেস, সাগরদাড়ী এক্সপ্রেস, ঢালারচর এক্সপ্রেস, টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস।

মেইল ও কমিউটার ট্রেন হচ্ছে, কর্ণফুলী কমিউটার, সাগরিকা কমিউটার, বলাকা কমিউটার, জামালপুর কমিউটার, ঢাকা কমিউটার, রকেট মেইল , মহানন্দা এক্সপ্রেস, পদ্মরাগ কমিউটার, উত্তরা এক্সপ্রেস।