চীনের উদ্যোগে ৬ দেশে চিকিৎসা সামগ্রীর মজুত গড়ে তোলা হবে
- আপডেট সময় : ০৬:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় চীনের উদ্যোগে দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশে চিকিৎসা সামগ্রীর মজুত গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক থেকে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে। মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল অংশ নেয়। ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অপর তিন দেশ এ উদ্যোগে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, বৈঠকে চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার সমন্বয়ে কোভিড ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল ফ্যাসিলিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাদের প্রয়োজন হবে এখান থেকে মেডিক্যাল সাপোর্ট নেবে। তিনি বলেন, চীনের অভিজ্ঞতার আলোকে পোস্টকোভিড দারিদ্র্য দূরীকরণ সেন্টার গঠন হবে। গ্রামীণ জনপদে ব্যবসা বাড়াতে ই-কমার্স স্প্রেড করানোর প্রোগ্রাম করা হবে যেন গ্রামের লোকের ব্যবসাও ভালো থাকে।
ড. মোমেন বলেন, করোনা পরবর্তী দারিদ্র বিমোচনে জরুরি ভিত্তিতে চীনের উদ্যোগে নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’তে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্র ড. এ কে আবদুল মোমেন এসব তথ্য জানান। করোনার টিকাসহ বিভিন্ন চিকিৎসাসামগ্রীর মজুত গড়ে তোলার বিষয়ে বৈঠকে একমত হয়েছে ছয়টি দেশ। এছাড়াও কোভিড পরবর্তী দারিদ্রতা দূরীকরণে একসঙ্গে কাজ করবে দেশগুলো।
সদস্য দেশগুলোর উদ্যোগে খুব শিগগিরই একটি ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য কোথাও থেকে কোনো দেশ চিকিৎসা সারঞ্জাম আমদানি করতে চাইলে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।
এসময় ড. মোমেন জানান, বিভিন্ন দেশ থেকেই ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। শুরুতে ভারত থেকে টিকা আনতে চুক্তি করা হয়। কিন্তু ভারতে টিকার স্বল্পতায় এখন তারা টিকা দিতে পারছে না। ফলে রাশিয়া থেকে টিকা আনার চেষ্টা চলছে। সপ্তাহ দুই সময় লাগবে টিকা পৌছাতে।
ড. মোমেন বলেন, ডব্লিউএইচওর অনুমোদন ছাড়া কোনো টিকা নিলে বাংলাদেশ ইমার্জেন্সিভিত্তিতে প্রয়োজনের অনুমতি দেবে। আমেরিকা অ্যাস্ট্রোজেনেকার কিছু টিকা বিক্রি করবে। আমরা সেটা আনারও চেষ্টা করবো। আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য যেখান থেকে আগে পাবো, সেখান থেকেই টিকা আনবো।
বৈঠকে চীনের বিদেশমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠানের অনুরোধ জানানো হলে তিনি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। বৈঠকে চীনা উদ্যোগে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা চাইলেই এই উদ্যোগে যোগ দিতে পারেন।