তেল চুরি করতে গিয়েই পদ্মাসেতুর পিলারে ধাক্কা, ২ চালককে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন

- আপডেট সময় : ০৬:১৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১ ১২২ বার পড়া হয়েছে

ক্ষতিগ্রস্ত পিলার ছবি: সংগৃহীত
আটক ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আবদুর রহমান
“তেল খরচ কমাতে সংক্ষিপ্ত পথে চলতে গিয়ে পদ্মার সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে আঘাত করে রো রো ফেরি শাহজালাল’ ক্ষতিগ্রস্ত ফেরি মেরামতের আগে চলাচল করা সম্ভব নয়”
খড়স্রোতা পদ্মা এখন উত্তাল। পাকা চালক ছাড়া কোন নৌযান সঠিকভাবে পারি দেওয়া মুশকিল। ভরবর্ষায় টগবগ করছে পদ্মা। অবশ্য পদ্মার ফণা দোলানো অবস্থায়ও ফেরিচালকেরা দজ্ঞতার সঙ্গেই যানবাহন পারাপার করছেন প্রতিনিয়ত।
কিন্তু গেল ২৩ জুলাই শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে বাংলাবাজার ঘাট ছেড়ে আসার পথে রো রো ফেরি শাহজালাল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে আঘাত করার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা।
চালকরা তেল চুরি করতেই সংক্ষিপ্ত পথে চলতে গিয়ে পদ্মার পিলারে আঘাতে করে। স্রোতের অনুকূলে কম গতিতে চালাতে (২৫০ আরপিএম) গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর পিলারে আঘাত
করে। তদন্ত প্রতিবেদনে এমন চমকপ্রদ তথ্য ওঠে এসেছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আবদুর রহমান।
আটক ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আবদুর রহমান
ঘটনার পরই গঠিত তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই তদন্ত প্রতিবেদনে চালক ও সুকানিকে দায়ী করা হয়েছে। ঘটনার দিনেই ঘটনাস্থ পরিদর্শনে যান তদন্ত কমিটিকে।
এসময় ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফেরির স্টিয়ারিং কাজ করছিল না বলে তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে দাবি করেন চালক ও অন্যান্য কর্মচারিরা। অবশ্য তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণে স্টিয়ারিং ভালো পাওয়া গিয়েছে। তবে ধীরগতিতে চালানোর কথা স্বীকার করেছে।
তদন্ত পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, স্রোতের বিপরীতে কিছুটা উপরের দিকে চালিয়ে পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ফাঁক দিয়ে নদী পাড়ি দিলে এ ঘটনা এড়াতে পারতেন ফেরির দুই চালক।
সেক্ষেত্রে পথ দীর্ঘ হতো এবং গতিও বাড়াতে হতো। এতে তেল খরচ হতো বেশি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল তেল বাঁচিয়ে তা বাইরে বিক্রি করে দেওয়া।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বরিবার তিনি তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছেন। দুর্ঘটনার জন্য ফেরি দুই চালককে দায়ী করা হয়েছে।
পদ্মার পিলারে আঘাতের সময় ফেরিতে ২৯টি যান এবং বিপুল সংখ্যক যাত্রী ছিলেন।
প্রচন্ড ধাক্কায় যাত্রীরা ছিটকে একে অপরের ওপর পড়ে আহত হন। কমপক্ষে ২০ জন যাত্রীর অবস্থা গুরুতর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, স্রোতের বিপরীতে কিছুটা ফথ উজানের দিকে চালিয়ে পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ফাঁক দিয়ে পাড়ি দেওয়া হলে এমন ঘটনা এড়াতে পারতেন ফেরির দুই চালক
(মাস্টার ও সুকানি)। সেক্ষেত্রে তেল খরচ হতো বেশি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল তেল বাঁচিয়ে তা বাইরে বিক্রি করে দেয়া।