ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-সিউল সম্পর্ক আরও উজ্জ্বল হবে: রাষ্ট্রদূত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১ ২৩৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেনকিউন বলেছেন, আগামীতে ঢাকাসিউল সম্পর্ক আরও উজ্জ্বল হবে। কারণ বাংলাদেশ বহু আগে থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার বড় বড় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে। সেগুলো সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (কেইপিজেড) কোরিয়াবাংলাদেশ সম্পর্ক সহযোগিতার প্রতীক।

গত সোমবার কেইপিজেডে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ডিকাবের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান রাষ্ট্রদূত। এ সময় কোরীয় কোম্পানি ইয়ংওয়ানের চেয়ারম্যান কিহাক সাং এবং কেইপিজেডের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর সাদাত উপস্থিত ছিলেন।

কোরীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বুকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দ্রুত উত্থান দক্ষিণ কোরিয়ার বড় নদী হানের মতো বিস্ময়। এমনকি করোনা মহামারির সময় বিশ্ব অর্থনীতি মন্থর হয়েছে তখনো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিলো।

বাংলাদেশ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চং সি-কানের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বার্তায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব প্রেক্ষাপট ও সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোরিয়ার পর্যবেক্ষণ প্রতিফলিত হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু। মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ ও কোরিয়া- দুই দেশই উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। আমাদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।

তিনি বলেন, ৪০ বছর আগে ইয়ংওয়ান বাংলাদেশে এসে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ধারণ করে ১৯৭৪ সালে ইয়ংওয়ান করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশ সম্পর্ক অনেক ক্ষেত্রেই অনন্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে এ সম্পর্ক অসাধারণ। কোরীয় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে বিকশিত হয়েছে।

কেইপিজেডের স্থাপনা ও কারখানাগুলো ঘুরিয়ে দেখিয়ে ইয়ংওয়ান চেয়ারম্যান কিহাক সাং বলেন, কিছু কোরীয় কোম্পানি এই অঞ্চলে আসতে খুবই আগ্রহী। আমি তাদের এখানে আসতে এবং বাংলাদেশের শিল্প উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে উৎসাহিত করি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এবং এর আশপাশে অবকাঠামোর দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। কিহাক সাং বলেন, আমি অবশ্যই বলব, আমরা আরও ভালো করব-এ ব্যাপারে আমি খুব আশাবাদী। আরও বিনিয়োগ আনতে আমরা খুব ভালো কাজ করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ক্ষেত্রে উন্নয়নের ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী আছে। এটি আইসিটি উন্নয়নের জন্য বড় সুযোগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঢাকা-সিউল সম্পর্ক আরও উজ্জ্বল হবে: রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেনকিউন বলেছেন, আগামীতে ঢাকাসিউল সম্পর্ক আরও উজ্জ্বল হবে। কারণ বাংলাদেশ বহু আগে থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার বড় বড় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে। সেগুলো সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (কেইপিজেড) কোরিয়াবাংলাদেশ সম্পর্ক সহযোগিতার প্রতীক।

গত সোমবার কেইপিজেডে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ডিকাবের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান রাষ্ট্রদূত। এ সময় কোরীয় কোম্পানি ইয়ংওয়ানের চেয়ারম্যান কিহাক সাং এবং কেইপিজেডের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর সাদাত উপস্থিত ছিলেন।

কোরীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বুকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দ্রুত উত্থান দক্ষিণ কোরিয়ার বড় নদী হানের মতো বিস্ময়। এমনকি করোনা মহামারির সময় বিশ্ব অর্থনীতি মন্থর হয়েছে তখনো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিলো।

বাংলাদেশ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চং সি-কানের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বার্তায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব প্রেক্ষাপট ও সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোরিয়ার পর্যবেক্ষণ প্রতিফলিত হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু। মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ ও কোরিয়া- দুই দেশই উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। আমাদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।

তিনি বলেন, ৪০ বছর আগে ইয়ংওয়ান বাংলাদেশে এসে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ধারণ করে ১৯৭৪ সালে ইয়ংওয়ান করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশ সম্পর্ক অনেক ক্ষেত্রেই অনন্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে এ সম্পর্ক অসাধারণ। কোরীয় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে বিকশিত হয়েছে।

কেইপিজেডের স্থাপনা ও কারখানাগুলো ঘুরিয়ে দেখিয়ে ইয়ংওয়ান চেয়ারম্যান কিহাক সাং বলেন, কিছু কোরীয় কোম্পানি এই অঞ্চলে আসতে খুবই আগ্রহী। আমি তাদের এখানে আসতে এবং বাংলাদেশের শিল্প উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে উৎসাহিত করি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এবং এর আশপাশে অবকাঠামোর দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। কিহাক সাং বলেন, আমি অবশ্যই বলব, আমরা আরও ভালো করব-এ ব্যাপারে আমি খুব আশাবাদী। আরও বিনিয়োগ আনতে আমরা খুব ভালো কাজ করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ক্ষেত্রে উন্নয়নের ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী আছে। এটি আইসিটি উন্নয়নের জন্য বড় সুযোগ।