ঢাকা দক্ষিণ সিটির উন্নয়নে সহায়তার প্রস্তাব ভারতের
- আপডেট সময় : ০৩:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০ ৫৫১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস রিপোর্ট
উভয় দেশের নগর প্রশাসন উন্নয়নে কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ-ভারত। দু’দেশই স্ব স্ব দেশের নগর প্রশাসনের সেরা অনুশীলনগুলি ভাগ করে নিতে চায় উভয় দেশ। পাশাপাশি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরে ভারতের সহযোগিতা করতে চায়। মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে নগর ভবনে বৈঠককালে এমন প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বৈঠককালে ভারতীয় হাইকমিশনার নিরাপদ ডিজিটাল ব্যাংকিং, যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন, সিএফএল বাল্ব এর পরিবর্তে এলইডি বাল্ব প্রতিস্থাপন এবং রাজস্ব সংগ্রহ ও আদায় বাড়াতে প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানে সহযোগিতা করারও প্রস্তাব দেন।
এসময় ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের আইনজীবীদের নিয়ে একটি আইন বিষয়ক বইমেলা আয়োজন করা যেতে পারে। উভয় দেশের বিচারপতিগণ বাংলাদেশ-ভারতের হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্ট পরিদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহযোগিতা করারও প্রস্তাব তিনি। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করতে পারাটাকে সৌভাগ্য বর্ণনা করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতীয় বিমান বাহিনীর সদস্য হিসেবে যৌথ বাহিনীর হয়ে তার পিতা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। স্মার্ট সিটি নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস একটি লিখিত প্রস্তাবনার কথা বলেন। শিগগিরই প্রস্তাবনাটি পাঠানো হবে জানান ভারতীয় হাইকমিশনার।
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে উপলক্ষ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ম্যারাথন ২০২১ আয়োজন প্রস্তুতি চলছে। এই আয়োজনে ভারতীয় অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণের জন্য হাইকমিশনারের সহযোগিতা চেয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সেই আয়োজনে ভারতীয় অ্যাথলেটদের দৃশ্যমান অংশগ্রহণের জন্য আপনার আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২১ এর আয়োজন সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ডিএসসিসি মেয়র উল্লেখ করেন, ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিটের আওতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রস্তাবটি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই একাজে গতি আসবে। এ সময় মহামারী করোনার প্রভাব হ্রাস পেলে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপসকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং কলকাতা সিটি করপোরেশনসহ কয়েকটি সিটি করপোরেশনের এলাকা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রস্তাব দেন। ভারতীয় হাই কমিশনারের এই প্রস্তাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার তাপস ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, করোনার প্রভাব শেষ হলে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে তিনি ভারত সফর করবেন। এ সময় ভারতীয় সিটি করপোরেশন ব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করতেও ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস সম্মতিজ্ঞাপন করেন।