ছবি: সংগৃহীত
‘শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে নাম লিখিয়েছে। বাংলাদেশ-চীন যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় টিকা উৎপানের চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে’
কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশে আসলো টিকার চতুর্থ চালান। জাপান থেকে শনিবার বিকালে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ ডোজ টিকার চালান পৌঁছোয় ঢাকায়। এনিয়ে চার দফায় যার মোট ২৪ লাখ ডোজ টিকা পেল বাংলাদেশ।
এর আগে গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে প্রথম চালানে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ, ৩১ জুলাই দ্বিতীয় চালানে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ এবং সর্বশেষ ২ আগস্ট ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকার তৃতীয় চালান আসে।
শনিবার চতুর্থ চালান নিয়ে মোট ২৪ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাঠাচ্ছে জাপান। কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে দেওয়া জাপানের উপহারের হিসেবে আসছে এই টিকা। শুক্রবার টিকার চালান নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে টোকিও বিমানবন্দর ছাড়ে উড়োজাহাজটি।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশে। সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ সরকার।
কিন্তু ৭০ লাখ ডোজ আসার পর ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে আর কোন পাননি বাংলাদেশ। এর বাইরে ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছিল টিকার ৩২ লাখ ডোজ টিকা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা ছাড়া ১৮ বছর বয়সী পড়ুয়া টিকা দেওয়ার বিষয়টি জোর দিয়ে হাসিনা। সে অনুযায়ী পড়ুয়াদেনর নিবন্ধর শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি বিভ্নি দেশ থেকে টিকা সংগ্রহণ অভিযান চলছে বাংলাদেশের। এখন একের পর এক টিকার চালান আসছে।
বাংলাদেশ চীন থেকে কেনা টিকার চালানও আসতে শুরু করেছে। কোভ্যাক্সের আওতায় ফাইজার, মডার্নার কোভিড টিকাও এসেছে। পাশাপাশি উপহার হিসেবে জাপানের মোট ৩০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসার কথা রয়েছে।