ঢাকায় গ্যাস বিস্ফোরণে ৭ জনের মৃত্যু

- আপডেট সময় : ১১:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১ ১৭৪ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ফাইল ছবি
তখন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। ঢাকার মগবাজার এখন অনেকটা জনসমাগমপূর্ণ এলাকা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ফার্স্ট ফুডের দোকান। রাত পোহালেই সাত দিনের কঠোর লকডাউন। বাড়ি থেকে বেরুনো নিষেধ। তাই বিভিন্ন দোকানে রাতের বেলায়ও ভীড়। মরমা হাউজও বাদ যায়নি। হঠাৎ বিস্ফোরণ। ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণটা ঘটে যায় গ্যাস লাইন থেকে।
তিনতলার নিচ তলার ভবনের নিচ তলায় শরমা হাউজের ব্যাপক ক্ষতিতো হয়েছেই, আশপাশেও একধিক ভবনের ক্ষতি হয়েছে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছে আগ্রণ নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে হাত লাগায়।

রাতে গঠনাস্থল পরিদর্শনে এসেছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন বিস্ফোরণে ৭জন মারা গিয়েছেন।
ডিএমপি কমিশনার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত তারা জানতে পেরেছেন, মগবাজারের শরমা হাউসে গ্যাস বিস্ফোরণ আশপাশের সাতটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গেছেন মোট সাতজন। মগবাজারের শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়কের তিনতলা একটি বাড়ির নিচতলা বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবুল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, মগবাজার এলাকার শরমা হাউসে (৭৯/১ সারকুলার রোডে) তিন তলা পুরাতন ভবনের নিচ তলায় গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা। ফায়াস সার্ভিস বলছে, আহতর সংখ্যা অন্তত অর্ধশতাধিক।
তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জনের আশঙ্কাজনক। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে বলে ধারণা হাসপাতাল সূত্রের। আহতদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার নাগাদ ব্যাস্ততম মগবাজার ওয়ারলেস গেট এলাকার একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা।
বিস্ফোরণটি কীভাবে ঘটলো সে বিষয়ে তথ্য জানা যায়নি। বিস্ফোরণে পর ভবনে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ হাত লাগায়। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের অপারেটর মো. ফরহাদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এসি বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। আর রমনা থানার ডিউটি অফিসার এসআই আবুল খায়ের জানিয়েছেন, সেখানে ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণের কথা তারা শুনেছেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম রয়েছে। বিস্ফোরণের পর রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেখা দেয়। রাত ৯টা নাগাদ বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।