ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বন্যা কবলিত দেড় হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিল গুড নেইবারস জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান পেতে আবেদনের সময় বাড়ল, অনুদানের প্রস্তাব সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ব্রিটিশ কাউন্সিল স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড, চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার, যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের সুযোগ তাইওয়ানে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সঙ্গে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা ছদ্মবেশে ভারতে পালাতে গিয়ে আটক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার ডিম-মুরগির দাম বেঁধে দিল সরকার শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৩ জনের চাকরি

ঢাকায় ইসকনের বর্ণাঢ্য রথযাত্রা, ভক্তের মহামিছিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আমিনুল হক, ঢাকা

বাংলাদেশের ব্যস্ততম রাজধানীর পুরাতন ঢাকার স্বামীবাগ যানবাহন শূন্য। আগে পিছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা বলয়। পথের দু’পাশে রশি দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনি। তার মধ্যে দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা মানবমিছিল। উচ্চ শব্দে বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে হরে কৃষ্ণ–হরে কৃষ্ণ যপ করতে করতে এগিয়ে যায় ভক্তদের শোভা যাত্রা।

পাশাপাশি রাজপথে লুটিয়ে পড়েন ভক্তের দল। সর্বধর্মের হাজারো মানুষ রাজপথের দু’পাশে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব।

এমন দৃশ্য ঢাকার রাজপথে। সরণকালের বর্ণঢ্য রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্যোগক্তারা বলছেন, এবারে রথযাত্রায় ৩ লাখ ভক্তের সমাগম ঘটেছে। ঢাকার স্বামী থেকে জাতীয় মন্দির ঢাকেশ^রীর দুরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটারের ওপরে। রবিবার বিকেল তিনটে নাগাদ স্বামীবাগ থেকে রথযাত্রা শুরু হয়।

এর আগে আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশ কতটা সম্প্রীতির তা আবার প্রমাণ করলো ঢাকা। বাংলাদেশ সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মানুষে মানুষে এমন সৌহার্দ্যবোধ বিশে^র আর কোথাও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষায়, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সকল ধর্মের মানুষ এক সঙ্গে মিলেমিশে বাস করি। জাতির পিতার সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন, সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দমুখর পরিবেশে ৯ দিনব্যাপী শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মহোৎসব রবিবার ঢাকায় শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই বিকাল ৩টায় উল্টো রথযাত্রার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে নয়দিনের উৎসব। পুরীর পর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় সর্ববৃহৎ রথযাত্রা।

দুরদূরান্ত থেকে হাজারো ভক্ত ছুটে আসেন স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে। এটি যে তাদের পাপমোচনের জন্য আরাদনার সবচেয়ে উত্তম স্থান।

এদিন বিকাল তিনটে নাগাদ ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ রথযাত্রা ছিলো মূলত মানবমিছিলে পরিণত হয়। সর্বধর্মের হাজারো মানুষ রাজপথের দু’পাশে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় আয়োজন জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা।

এ উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রথটান, রথের মেলা, হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামানায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভাগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ধর্মীয় নাটক মঞ্চায়ন, প্রসাদ বিতরণসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকার স্বামীবাগের ইসকন মন্দির প্রাঙ্গণে এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ ও আলোচনা সভা শেষে তিনটি সুবিশাল রথে জগন্নাথ দেব, শুভদ্র ও বলরামের প্রতিকৃতি-সহ রথ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত সব বয়সের হাজারো নারী-পুরুষ অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঢাকায় ইসকনের বর্ণাঢ্য রথযাত্রা, ভক্তের মহামিছিল

আপডেট সময় : ১০:৩২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

 

আমিনুল হক, ঢাকা

বাংলাদেশের ব্যস্ততম রাজধানীর পুরাতন ঢাকার স্বামীবাগ যানবাহন শূন্য। আগে পিছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা বলয়। পথের দু’পাশে রশি দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনি। তার মধ্যে দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা মানবমিছিল। উচ্চ শব্দে বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে হরে কৃষ্ণ–হরে কৃষ্ণ যপ করতে করতে এগিয়ে যায় ভক্তদের শোভা যাত্রা।

পাশাপাশি রাজপথে লুটিয়ে পড়েন ভক্তের দল। সর্বধর্মের হাজারো মানুষ রাজপথের দু’পাশে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব।

এমন দৃশ্য ঢাকার রাজপথে। সরণকালের বর্ণঢ্য রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্যোগক্তারা বলছেন, এবারে রথযাত্রায় ৩ লাখ ভক্তের সমাগম ঘটেছে। ঢাকার স্বামী থেকে জাতীয় মন্দির ঢাকেশ^রীর দুরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটারের ওপরে। রবিবার বিকেল তিনটে নাগাদ স্বামীবাগ থেকে রথযাত্রা শুরু হয়।

এর আগে আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশ কতটা সম্প্রীতির তা আবার প্রমাণ করলো ঢাকা। বাংলাদেশ সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মানুষে মানুষে এমন সৌহার্দ্যবোধ বিশে^র আর কোথাও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষায়, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সকল ধর্মের মানুষ এক সঙ্গে মিলেমিশে বাস করি। জাতির পিতার সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন, সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দমুখর পরিবেশে ৯ দিনব্যাপী শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মহোৎসব রবিবার ঢাকায় শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই বিকাল ৩টায় উল্টো রথযাত্রার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে নয়দিনের উৎসব। পুরীর পর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় সর্ববৃহৎ রথযাত্রা।

দুরদূরান্ত থেকে হাজারো ভক্ত ছুটে আসেন স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে। এটি যে তাদের পাপমোচনের জন্য আরাদনার সবচেয়ে উত্তম স্থান।

এদিন বিকাল তিনটে নাগাদ ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ রথযাত্রা ছিলো মূলত মানবমিছিলে পরিণত হয়। সর্বধর্মের হাজারো মানুষ রাজপথের দু’পাশে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় আয়োজন জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা।

এ উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রথটান, রথের মেলা, হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামানায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভাগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ধর্মীয় নাটক মঞ্চায়ন, প্রসাদ বিতরণসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকার স্বামীবাগের ইসকন মন্দির প্রাঙ্গণে এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ ও আলোচনা সভা শেষে তিনটি সুবিশাল রথে জগন্নাথ দেব, শুভদ্র ও বলরামের প্রতিকৃতি-সহ রথ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত সব বয়সের হাজারো নারী-পুরুষ অংশ নেন।