ঢাকাই নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

- আপডেট সময় : ০৪:১৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

ঢাকাই নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর ভাঙচুর ও ভয়ভীতি ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ ঘটনায় দায়ের করা ব্যবসায়ীর মামলায় পরীমণির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশও দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধেও চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ২০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইজীবী বলেন, রবিবার মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য তারিখ ধার্য ছিল। অসুস্থ থাকায় পরীমণি আদালতে হাজির হতে পারেননি। অপর আসামি জিমির পক্ষেও সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন। গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন।
২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তাদের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ১৮ এপ্রিল ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত দুই আসামিকে ২৫ জুন আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। এদিন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তারা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করে চলে যান। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।
২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।
বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন।
একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালি দেন।
বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।
এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুই জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।