ঢাকা ১২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল হাটে ২২৬ কোটি টাকার কোরবাণীর পশু বিক্রি

উদয়ন চৌধুরী, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১ ২১৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে সরকারী উদ্যোগে ২৪১ ডিজিটাল হাটের আয়োজন করে। কোটি টাকার কোরবাণীরা পশু বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে জিডিটাল হাটে মোট ২২৬ কোটি ৬২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৬৮ টাকার পশু বিক্রি হয়েছে।

এরমধ্যে ১৯ জুলাই পর্যন্ত গরু ও মহিষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯১০টি, ছাগল ও ভেড়া ৭৩ হাজার ৫৯৭টি বিক্রি হয়েছে। এ নিয়ে সারাদেশে মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৫০৭টি পশু বিক্রি হয়। ঢাকায় ১ হাজার ৪২৯টি পশু ডিজিটাল হাটে সরাসরি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ১ হাজার ৩২৪টি এবং ছাগল ও ভেড়া ১০৫টি।

আর ২৬৪টি স্লটার বুকিং হয়েছে। এসক্রো সার্ভিসের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে ২৩টি পশু। এসক্রো এমন একটি সেবা যেখানে একজন ক্রেতা পণ্য ক্রয়ের সময় যে মূল্য পরিশোধ করেন তা একটি তৃতীয় পক্ষের কাছে জমা থাকে। ক্রেতা তার কাঙ্খিত পণ্য বা সেবা বুঝে পেয়েছেন এমন নিশ্চয়তা দেয়ার পর সেই তৃতীয় পক্ষ বিক্রেতাকে মূল্য পরিশোধ করেন।

১৩ জুলাই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘দেশব্যাপী ডিজিটাল হাট’র উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে হওয়ায় এই হাট থেকে কেনাকাটা সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। একারণে গরুর

হাটে প্রভাব পড়েছে বলেও মনে করেন অনেক ব্যবসায়ী। আগামী বছর আরও বেশি ডিজিটাল হাটের আয়োজন করার ইচ্ছে রয়েছে সরকারের তরফে।

ঢাকার পশুর হাটগুলো পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য টহলের পাশাপাশি হাটে ব্যাংকের বুথ এবং পাশের ব্যাংকের শাখাগুলো রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। হাটে থাকছেন প্রাণী সম্পদ বিভাগের আধিকারীকরাও। এদিন সারারাত পশুর হাট খোলা থাকবে।

ঈদ উপলক্ষে চারিদিকে কেবল নিয়ম ভাঙ্গার চিত্র। রাত পোহালেই ঈদ। মানুষ উর্ধশ্বাসে ছুটছে পশুর হাটে, ফেরিঘাটে বা জাতীয় সড়ক ধরে ঢাকার বাইরে। বাংলাদেশের ফেরিঘাটগুলোতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মানুষ ঈচ্ছে মাফিক ঘরে ফিরছে।

দক্ষিাণ-দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ৪০ জেলার মানুষ পদ্মা পার হচ্ছেন, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং মুন্সিগঞ্জের শিমূলিয়া ফেরিঘাট দিয়ে। ফেরি ও লঞ্চে কেবল মানুভস্রোত।

স্বাস্থ্যবিধিকে পদ্মার জলে ভাসিয়ে দিয়ে ঘরমুখো মানুষ ছুটে চলেছে আপন ঠিকানায়। ঈদের পর এই উন্মাদনার ফসল কি হবে তা নিয়ে রীতিমত ভাবনায় পড়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন পশুর হাটগুলো লোকেলোকারণ্য। কেউ কিনছেন গরু, কেউ বা খাসি। ঢাকার শাহজাহানপুর

রেলওয়ে মাঠের পশুর হাট জলকাদায় একাকার। এর মধ্যেই মানুষের ঢল। ক্রেতাবিক্রেতার দাপটে উধাও স্বাস্থ্যবিধি।

এবারেও গাবতলী পশুর হাটে উট ও দুম্বা ওঠেছে। হাটে মাঝারি সাইজের গরুর দাম মোটামুটি চড়া। বড় গরুর ক্রেতা কম। কভিডের কারণে গত বারের চেয়ে এবারে একক কোরবাণীর সংখ্যা

কিছুটা কমে আসার কথা জানালেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। গরুর পাইকাররা জানালেন, এবারে বাজার মন্দা। অনেকে আবার গরু বিক্রি করে লোকসান গুণেছেন। খাসির বাজার

তুলনামূক চড়া। ১৩ থেকে ১৫ কেজি ওজনের একটি খাসির দাম হাকা হচ্ছে ২০ হাজার টাকা। এবারে গরুর হাটে ২০ থেকে ৩০ মন ওজনের গরুও এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ডিজিটাল হাটে ২২৬ কোটি টাকার কোরবাণীর পশু বিক্রি

আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১

করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে সরকারী উদ্যোগে ২৪১ ডিজিটাল হাটের আয়োজন করে। কোটি টাকার কোরবাণীরা পশু বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে জিডিটাল হাটে মোট ২২৬ কোটি ৬২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৬৮ টাকার পশু বিক্রি হয়েছে।

এরমধ্যে ১৯ জুলাই পর্যন্ত গরু ও মহিষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯১০টি, ছাগল ও ভেড়া ৭৩ হাজার ৫৯৭টি বিক্রি হয়েছে। এ নিয়ে সারাদেশে মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৫০৭টি পশু বিক্রি হয়। ঢাকায় ১ হাজার ৪২৯টি পশু ডিজিটাল হাটে সরাসরি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ১ হাজার ৩২৪টি এবং ছাগল ও ভেড়া ১০৫টি।

আর ২৬৪টি স্লটার বুকিং হয়েছে। এসক্রো সার্ভিসের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে ২৩টি পশু। এসক্রো এমন একটি সেবা যেখানে একজন ক্রেতা পণ্য ক্রয়ের সময় যে মূল্য পরিশোধ করেন তা একটি তৃতীয় পক্ষের কাছে জমা থাকে। ক্রেতা তার কাঙ্খিত পণ্য বা সেবা বুঝে পেয়েছেন এমন নিশ্চয়তা দেয়ার পর সেই তৃতীয় পক্ষ বিক্রেতাকে মূল্য পরিশোধ করেন।

১৩ জুলাই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘দেশব্যাপী ডিজিটাল হাট’র উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে হওয়ায় এই হাট থেকে কেনাকাটা সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। একারণে গরুর

হাটে প্রভাব পড়েছে বলেও মনে করেন অনেক ব্যবসায়ী। আগামী বছর আরও বেশি ডিজিটাল হাটের আয়োজন করার ইচ্ছে রয়েছে সরকারের তরফে।

ঢাকার পশুর হাটগুলো পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য টহলের পাশাপাশি হাটে ব্যাংকের বুথ এবং পাশের ব্যাংকের শাখাগুলো রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। হাটে থাকছেন প্রাণী সম্পদ বিভাগের আধিকারীকরাও। এদিন সারারাত পশুর হাট খোলা থাকবে।

ঈদ উপলক্ষে চারিদিকে কেবল নিয়ম ভাঙ্গার চিত্র। রাত পোহালেই ঈদ। মানুষ উর্ধশ্বাসে ছুটছে পশুর হাটে, ফেরিঘাটে বা জাতীয় সড়ক ধরে ঢাকার বাইরে। বাংলাদেশের ফেরিঘাটগুলোতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মানুষ ঈচ্ছে মাফিক ঘরে ফিরছে।

দক্ষিাণ-দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ৪০ জেলার মানুষ পদ্মা পার হচ্ছেন, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং মুন্সিগঞ্জের শিমূলিয়া ফেরিঘাট দিয়ে। ফেরি ও লঞ্চে কেবল মানুভস্রোত।

স্বাস্থ্যবিধিকে পদ্মার জলে ভাসিয়ে দিয়ে ঘরমুখো মানুষ ছুটে চলেছে আপন ঠিকানায়। ঈদের পর এই উন্মাদনার ফসল কি হবে তা নিয়ে রীতিমত ভাবনায় পড়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন পশুর হাটগুলো লোকেলোকারণ্য। কেউ কিনছেন গরু, কেউ বা খাসি। ঢাকার শাহজাহানপুর

রেলওয়ে মাঠের পশুর হাট জলকাদায় একাকার। এর মধ্যেই মানুষের ঢল। ক্রেতাবিক্রেতার দাপটে উধাও স্বাস্থ্যবিধি।

এবারেও গাবতলী পশুর হাটে উট ও দুম্বা ওঠেছে। হাটে মাঝারি সাইজের গরুর দাম মোটামুটি চড়া। বড় গরুর ক্রেতা কম। কভিডের কারণে গত বারের চেয়ে এবারে একক কোরবাণীর সংখ্যা

কিছুটা কমে আসার কথা জানালেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। গরুর পাইকাররা জানালেন, এবারে বাজার মন্দা। অনেকে আবার গরু বিক্রি করে লোকসান গুণেছেন। খাসির বাজার

তুলনামূক চড়া। ১৩ থেকে ১৫ কেজি ওজনের একটি খাসির দাম হাকা হচ্ছে ২০ হাজার টাকা। এবারে গরুর হাটে ২০ থেকে ৩০ মন ওজনের গরুও এসেছে।