বাংলাদেশে এখন আর টিকার সংকট নেই। সরকারের হাতে টিকার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। দেশের সব নাগরিক পর্যায়ক্রমে করোনা টিকা পাবেন। শনিবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা সিলেটের রেড ক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন
ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত এসব তথ্য জানানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে টিকা নিতে হবে। ড. মোমেন বলেন, দেশের সকল নাগরিক কোভিড-১৯ টিকা পাবেন। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সরকারের হাতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকার মজুদ
রয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে টিকার সংগ্রহ করছে। সামনে আরও প্রচুর টিকা আসছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই কেন্দ্রে টিকাগ্রহণ করবেন। টিকা নিতে এসে যেন অসচেতনতাবশত করোনা সংক্রমণের কবলে কেউ না পড়েন।
তিনি জানান, প্রত্যেক কেন্দ্রে কর্পোরেশনের কর্মীদের পাশাপাশি কাউন্সিলররাও ক্যাম্পেইন পর্যবেক্ষণ করছেন। এই ক্যাম্পেইন সফল করতে নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ৮১টি কেন্দ্রে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টানা তিন দিন টিকা কার্যক্রম চলবে। প্রথম দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।
রবিবার ও সোমবার প্রতিটি কেন্দ্রে ২০০ জন করে টিকা দেওয়া হবে। সিসিকের এই কার্যক্রমে ১৬২জন কর্মী যুক্ত রয়েছে।
সিলেটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ,
সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর
আজিজুর রহমান, সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে সিলেট জেলার ১০০ ইউনিয়নে সমসংখ্যক কেন্দ্রে জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত।