ঢাকা ০১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝুঁকি নিয়ে ছোটাছুটি না করে যার যার অবস্থানে থাকুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১ ১৬৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝুঁকি নিয়ে ছোটাছুটি না করে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করার ডাক দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেঁচে থাকলে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে তো দেখা হবেই। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈদ উপলক্ষে ছোটাছুটি না করে যে যেখানে আছেন, সেখানে ঈদ উদযাপন করুন। আর সমাজের বিত্তশালীদের দুস্থ মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রকের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার অবকাঠামো ও জলযানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এসব জলযান ও অবকাঠামোর উদ্বোধন করেন। এসময় নৌ মন্ত্রকের সভাকক্ষে যুক্ত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব যেন বাংলাদেশব্যাপী ছড়িয়ে না পড়ে সেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধে যা যা করণীয় তাই করতে হবে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া স্থান বদল করবেন না। কারণ, এই যাতায়াতটা করতে গেলেই কে যে সংক্রমিত হবেন তা কিন্তু কেউ জানেন না।

এজন্য ছুটোছুটি করতে গিয়ে কে কখন আক্রান্ত হবেন এবং তার মাধ্যমে অনেক লোক সংক্রমিত হবে। এক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। সেটা যাতে না হয় সেজন্যই আমরা কিন্তু যাতায়াত সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু সেই সঙ্গে দেশের মানুষের আর্থিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডগুলো যেন অব্যাহত থাকে, সেটাও সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তা করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

নৌ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের এই নৌযানগুলো চালান বা পরিচালনা করেন বা ব্যবসা করেন, তাদের যাত্রীদের সুরক্ষার দিকটি যেমন দেখতে হবে, যাত্রীদেরও নিজেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করতে হবে। মনে রাখতে হবে একটা নৌযানের সক্ষমতা কতটুকু তা জেনেই তার যাত্রী হওয়া উচিৎ।

ঠেলাঠেলি করে একসঙ্গে বেশি উঠতে গিয়ে তারপর একটা দুর্ঘটনা হবে এবং নিজেদের জীবন চলে যাবে। এ ব্যাপারে সবাইকে একটু সতর্ক থাকতে হবে, সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে যেতে গিয়ে যখন একটা দুর্ঘটনা ঘটে, যে মানুষগুলোর জীবন চলে যায়, আর যারা আপনজন হারিয়ে বেঁচে থাকে তাদের কষ্টের কথাটা একবার চিন্তা করে দেখবেন। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। কোনও একটা বিপদ এলে ধৈর্য ধরতে হবে। এছাড়া যেসব নৌ-যান চলাচল করে প্রত্যেকেরই রেজিস্ট্রেশন থাকা উচিত।

রেজিস্ট্রেশন না থাকার কারণে অনেক সময় কে কার কী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা সেগুলো পাওয়া যায় না। তাছাড়া নৌযানের চলতে গেলে কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে। হয়তো একটা ঘটনা ঘটলো, সবাই একদিকে ছুটে গেলেন, সেটা দেখতে। সেখানে কিন্তু নৌকাডুবি ঘটে যায় বা লঞ্চডুবি হয়ে যায়। কাজেই নিয়মগুলো মেনে চলা একান্ত অপরিহার্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঝুঁকি নিয়ে ছোটাছুটি না করে যার যার অবস্থানে থাকুন : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১

ঝুঁকি নিয়ে ছোটাছুটি না করে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করার ডাক দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেঁচে থাকলে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে তো দেখা হবেই। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈদ উপলক্ষে ছোটাছুটি না করে যে যেখানে আছেন, সেখানে ঈদ উদযাপন করুন। আর সমাজের বিত্তশালীদের দুস্থ মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রকের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার অবকাঠামো ও জলযানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এসব জলযান ও অবকাঠামোর উদ্বোধন করেন। এসময় নৌ মন্ত্রকের সভাকক্ষে যুক্ত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব যেন বাংলাদেশব্যাপী ছড়িয়ে না পড়ে সেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধে যা যা করণীয় তাই করতে হবে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া স্থান বদল করবেন না। কারণ, এই যাতায়াতটা করতে গেলেই কে যে সংক্রমিত হবেন তা কিন্তু কেউ জানেন না।

এজন্য ছুটোছুটি করতে গিয়ে কে কখন আক্রান্ত হবেন এবং তার মাধ্যমে অনেক লোক সংক্রমিত হবে। এক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। সেটা যাতে না হয় সেজন্যই আমরা কিন্তু যাতায়াত সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু সেই সঙ্গে দেশের মানুষের আর্থিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডগুলো যেন অব্যাহত থাকে, সেটাও সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তা করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

নৌ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের এই নৌযানগুলো চালান বা পরিচালনা করেন বা ব্যবসা করেন, তাদের যাত্রীদের সুরক্ষার দিকটি যেমন দেখতে হবে, যাত্রীদেরও নিজেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করতে হবে। মনে রাখতে হবে একটা নৌযানের সক্ষমতা কতটুকু তা জেনেই তার যাত্রী হওয়া উচিৎ।

ঠেলাঠেলি করে একসঙ্গে বেশি উঠতে গিয়ে তারপর একটা দুর্ঘটনা হবে এবং নিজেদের জীবন চলে যাবে। এ ব্যাপারে সবাইকে একটু সতর্ক থাকতে হবে, সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে যেতে গিয়ে যখন একটা দুর্ঘটনা ঘটে, যে মানুষগুলোর জীবন চলে যায়, আর যারা আপনজন হারিয়ে বেঁচে থাকে তাদের কষ্টের কথাটা একবার চিন্তা করে দেখবেন। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। কোনও একটা বিপদ এলে ধৈর্য ধরতে হবে। এছাড়া যেসব নৌ-যান চলাচল করে প্রত্যেকেরই রেজিস্ট্রেশন থাকা উচিত।

রেজিস্ট্রেশন না থাকার কারণে অনেক সময় কে কার কী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা সেগুলো পাওয়া যায় না। তাছাড়া নৌযানের চলতে গেলে কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে। হয়তো একটা ঘটনা ঘটলো, সবাই একদিকে ছুটে গেলেন, সেটা দেখতে। সেখানে কিন্তু নৌকাডুবি ঘটে যায় বা লঞ্চডুবি হয়ে যায়। কাজেই নিয়মগুলো মেনে চলা একান্ত অপরিহার্য।