ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খাওয়াচ্ছেন বাবা, আদালতে বয়ান ব্রিটনি স্পিয়ার্স

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১ ২২২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘দীর্ঘদিন মুখ বুজে ছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স যদিও পপ তারকার জীবন নিয়ে বিতর্ক কম নেই’ এই প্রথম খোলা আদালতে তার বাবা ও যারা তাকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করছেন, তাদের নিন্দা জানালেন ব্রিটনি’

এবার বাবার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তিনি। তার অভিযোগ, প্রায় ১৩ বছর ধরে জীবনযাত্রা ও আর্থিক সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন তার বাবা জিমি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটরশিপ আইনের অধীনে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল জিমিকে। এবার বিচারকের কাছে আর্জি জানিয়ে এই ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি চাইলেন ব্রিটনি।

তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব এই ‘অপমানজনক’বন্দিজীবন শেষ করতে চান তিনি, যা তার মন ভেঙে দেয় ও দাসত্ব অনুভব করায়।

এই প্রথম খোলা আদালতে তার বাবা ও যারা তাকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করছেন, তাদের নিন্দা জানালেন ব্রিটনি।

তিনি জানান, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খেতে বাধ্য করেন তারা। এমনকি, প্রেমিককে বিয়ে করতে ও আরেক সন্তান নিতেও তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। লস এঞ্জেলেসের আদালতের বিচারককে ব্রিটনি বলেছেন, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন এবং দিনের পর দিন কেঁদেছেন। ‘আমি আমার জীবন ফিরে পেতে চাই’, আদালতকে জানান ব্রিটনি।

ব্রিটনি আরও জানান, ‘এই কনজারভেটরশিপ ভালোর চেয়ে আমার জন্য খারাপই বেশি করছে। আমারও স্বাভাবিক জীবন কাটানোর অধিকার আছে। আমাকে আমার প্রেমিকের সঙ্গে লং ড্রাইভে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয় না।’

ব্রিটনির দাবি, তার বাবা তার ওপর অত্যাধিক নিয়ন্ত্রণ করে তার জীবন অতিষ্ট করে তুলেছেন। 

ব্রিটনির প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড জাস্টিন টিম্বারলেক আরও  অনেকের মতো ব্রিটনিকেই সমর্থন জানিয়েছেন। টুইটে লিখেছেন, “ওর সঙ্গে যা হচ্ছে তা হতাশাজনক। কোনও নারী তার শরীর নিয়ে কী করবে সেই সিদ্ধান্ত অন্য কেউ নিতে পারে না।”

২০০৮ সালে আদালতের এক আদেশে ব্রিটনির বাবা জেমিকে যাবতীয় সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়। সে সময় উদ্বেগ ও অবসাদের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ব্রিটনিকে। তখন ১৩ বছর আগে কনজারভেটরশিপের রায় দিয়েছিল মার্কিনি আদালত।

আদালতের পক্ষ থেকে এখনও কোনও রায় দেওয়া না হলেও বিশ্বজুড়ে ‘ফ্রি ব্রিটনি’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খাওয়াচ্ছেন বাবা, আদালতে বয়ান ব্রিটনি স্পিয়ার্স

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১

‘দীর্ঘদিন মুখ বুজে ছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স যদিও পপ তারকার জীবন নিয়ে বিতর্ক কম নেই’ এই প্রথম খোলা আদালতে তার বাবা ও যারা তাকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করছেন, তাদের নিন্দা জানালেন ব্রিটনি’

এবার বাবার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তিনি। তার অভিযোগ, প্রায় ১৩ বছর ধরে জীবনযাত্রা ও আর্থিক সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন তার বাবা জিমি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটরশিপ আইনের অধীনে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল জিমিকে। এবার বিচারকের কাছে আর্জি জানিয়ে এই ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি চাইলেন ব্রিটনি।

তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব এই ‘অপমানজনক’বন্দিজীবন শেষ করতে চান তিনি, যা তার মন ভেঙে দেয় ও দাসত্ব অনুভব করায়।

এই প্রথম খোলা আদালতে তার বাবা ও যারা তাকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করছেন, তাদের নিন্দা জানালেন ব্রিটনি।

তিনি জানান, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খেতে বাধ্য করেন তারা। এমনকি, প্রেমিককে বিয়ে করতে ও আরেক সন্তান নিতেও তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। লস এঞ্জেলেসের আদালতের বিচারককে ব্রিটনি বলেছেন, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন এবং দিনের পর দিন কেঁদেছেন। ‘আমি আমার জীবন ফিরে পেতে চাই’, আদালতকে জানান ব্রিটনি।

ব্রিটনি আরও জানান, ‘এই কনজারভেটরশিপ ভালোর চেয়ে আমার জন্য খারাপই বেশি করছে। আমারও স্বাভাবিক জীবন কাটানোর অধিকার আছে। আমাকে আমার প্রেমিকের সঙ্গে লং ড্রাইভে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয় না।’

ব্রিটনির দাবি, তার বাবা তার ওপর অত্যাধিক নিয়ন্ত্রণ করে তার জীবন অতিষ্ট করে তুলেছেন। 

ব্রিটনির প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড জাস্টিন টিম্বারলেক আরও  অনেকের মতো ব্রিটনিকেই সমর্থন জানিয়েছেন। টুইটে লিখেছেন, “ওর সঙ্গে যা হচ্ছে তা হতাশাজনক। কোনও নারী তার শরীর নিয়ে কী করবে সেই সিদ্ধান্ত অন্য কেউ নিতে পারে না।”

২০০৮ সালে আদালতের এক আদেশে ব্রিটনির বাবা জেমিকে যাবতীয় সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়। সে সময় উদ্বেগ ও অবসাদের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ব্রিটনিকে। তখন ১৩ বছর আগে কনজারভেটরশিপের রায় দিয়েছিল মার্কিনি আদালত।

আদালতের পক্ষ থেকে এখনও কোনও রায় দেওয়া না হলেও বিশ্বজুড়ে ‘ফ্রি ব্রিটনি’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।