ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জেলেনস্কির উচিত ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাওয়া: মার্কো রুবিও

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা চলার পর এমন পরিস্থিতি হয়। যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিলের কথা জানানো হয় জেলেনস্কিকে। গতকাল হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই নেতার মধ্যে নজিরবিহীন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে গতকাল স্থানীয় সময় যা ঘটেছে তার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত, এমনটাই মনে করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

সংবাদ মাধ্যমকে রুবিও বলেছেন, ভলোদিমির জেলেনস্কির উচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

রুবিও প্রশ্ন তুলেছেন জেলেনস্কি সত্যিই শান্তি চান কি না, বিশেষ করে তাদের আলোচনার ব্যর্থ সমাপ্তির পর।

ওভাল অফিসের বৈঠক ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর, ট্রাম্প ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

রুবিও সেসব এড়িয়ে গিয়ে বরং ইঙ্গিত দেন যে মূল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে জেলেনস্কির আচরণের কারণে এবং তারই উচিত ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

রুবিও বলেন, আপনারা সবাই কেবল শেষ মুহূর্তের নাটকীয় ঘটনাগুলো দেখেছেন, কিন্তু আসল পরিস্থিতি বুঝতে হলে এর আগের ঘটনাগুলোও দেখতে হবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই তার অবস্থান স্পষ্ট রেখেছেন— তিনি মনে করেন এই যুদ্ধ কখনোই শুরু হওয়া উচিত ছিল না। আমি একমত যে, যদি তিনি তখন প্রেসিডেন্ট থাকতেন, তাহলে এটি ঘটতো না।

তিনি আরও যোগ করেন, এখন তিনি এই যুদ্ধ শেষ করতে চান। আমরা বারবার পরিষ্কারভাবে বলেছি— আমাদের লক্ষ্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা, আমরা জানতে চাই সত্যিই শান্তি সম্ভব কি না।

রুবিওর মতে, গত দশ দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোই ওভাল অফিসের উত্তপ্ত পরিস্থিতির পথ তৈরি করেছিল। তার দাবি, এই বৈঠক হওয়াই উচিত ছিল না, কারণ তারা মূলত এসেছিলেন কেবল একটি খনিজ সম্পদ চুক্তি সই করতে।

তিনি সরাসরি জেলেনস্কির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এই পুরো বিষয়টিকে বিশৃঙ্খলায় পরিণত করার জন্য তারই ক্ষমা চাওয়া উচিত।

রুবিও আরও বলেন, এখানে এসে আমাদের শেখানোর চেষ্টা করবেন না যে কূটনীতি ব্যর্থ হবে। জেলেনস্কি আলোচনাকে এমন এক পথে নিয়ে গেছেন, যেখানে এ ধরনের ফলাফল প্রায় নিশ্চিত ছিল।

এরপর তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন, আদৌ জেলেনস্কি তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধের অবসান চান কি না। হয়তো তিনি সত্যিই শান্তি চুক্তি করতে চান না। তার এই প্রকাশ্য বিরোধিতা অত্যন্ত হতাশাজনক, বিশেষ করে যারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন তাদের জন্য। আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য অন্তত তার ক্ষমা চাওয়া উচিত, -বলেন রুবিও।

সিএনএনের সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন— ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সম্পর্ক কি এখনো ঠিক করা সম্ভব?

রুবিও উত্তর দেন, আমি মনে করি কিছুই অসম্ভব নয়। তবে এটা অবশ্যই বোঝা দরকার যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পুরো প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছেন একটি দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জেলেনস্কির উচিত ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাওয়া: মার্কো রুবিও

আপডেট সময় : ০২:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা চলার পর এমন পরিস্থিতি হয়। যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিলের কথা জানানো হয় জেলেনস্কিকে। গতকাল হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই নেতার মধ্যে নজিরবিহীন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে গতকাল স্থানীয় সময় যা ঘটেছে তার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত, এমনটাই মনে করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

সংবাদ মাধ্যমকে রুবিও বলেছেন, ভলোদিমির জেলেনস্কির উচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

রুবিও প্রশ্ন তুলেছেন জেলেনস্কি সত্যিই শান্তি চান কি না, বিশেষ করে তাদের আলোচনার ব্যর্থ সমাপ্তির পর।

ওভাল অফিসের বৈঠক ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর, ট্রাম্প ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

রুবিও সেসব এড়িয়ে গিয়ে বরং ইঙ্গিত দেন যে মূল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে জেলেনস্কির আচরণের কারণে এবং তারই উচিত ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

রুবিও বলেন, আপনারা সবাই কেবল শেষ মুহূর্তের নাটকীয় ঘটনাগুলো দেখেছেন, কিন্তু আসল পরিস্থিতি বুঝতে হলে এর আগের ঘটনাগুলোও দেখতে হবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই তার অবস্থান স্পষ্ট রেখেছেন— তিনি মনে করেন এই যুদ্ধ কখনোই শুরু হওয়া উচিত ছিল না। আমি একমত যে, যদি তিনি তখন প্রেসিডেন্ট থাকতেন, তাহলে এটি ঘটতো না।

তিনি আরও যোগ করেন, এখন তিনি এই যুদ্ধ শেষ করতে চান। আমরা বারবার পরিষ্কারভাবে বলেছি— আমাদের লক্ষ্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা, আমরা জানতে চাই সত্যিই শান্তি সম্ভব কি না।

রুবিওর মতে, গত দশ দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোই ওভাল অফিসের উত্তপ্ত পরিস্থিতির পথ তৈরি করেছিল। তার দাবি, এই বৈঠক হওয়াই উচিত ছিল না, কারণ তারা মূলত এসেছিলেন কেবল একটি খনিজ সম্পদ চুক্তি সই করতে।

তিনি সরাসরি জেলেনস্কির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এই পুরো বিষয়টিকে বিশৃঙ্খলায় পরিণত করার জন্য তারই ক্ষমা চাওয়া উচিত।

রুবিও আরও বলেন, এখানে এসে আমাদের শেখানোর চেষ্টা করবেন না যে কূটনীতি ব্যর্থ হবে। জেলেনস্কি আলোচনাকে এমন এক পথে নিয়ে গেছেন, যেখানে এ ধরনের ফলাফল প্রায় নিশ্চিত ছিল।

এরপর তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন, আদৌ জেলেনস্কি তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধের অবসান চান কি না। হয়তো তিনি সত্যিই শান্তি চুক্তি করতে চান না। তার এই প্রকাশ্য বিরোধিতা অত্যন্ত হতাশাজনক, বিশেষ করে যারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন তাদের জন্য। আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য অন্তত তার ক্ষমা চাওয়া উচিত, -বলেন রুবিও।

সিএনএনের সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন— ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সম্পর্ক কি এখনো ঠিক করা সম্ভব?

রুবিও উত্তর দেন, আমি মনে করি কিছুই অসম্ভব নয়। তবে এটা অবশ্যই বোঝা দরকার যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পুরো প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছেন একটি দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।