ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের খেতাব রাখতে দেয়া যায়না : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৩২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস রিপোর্ট

বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমান বেনিফিসিয়ারি। ৭৫’ পরবর্তী সময়ে জাতির পিতার খুনিদের তিনি লালন পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত’ করেছিলেন জিয়াউর রহমানই। বঙ্গবন্ধু খুনিদের সংসদে এনেছেন জিয়া। এরশাদ, খালেদা জিয়াও সেই পথে হেটেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছে। সেহেতু পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ হওয়ায় জিয়ার শাসনামল অবৈধ। তার সকল কার্যক্রম অবৈধ। তার সকল কর্মকান্ড রাষ্ট্রবিরোধী। তিনি অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের লালন করেছেন। জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব রাখতে দেয়া যায়না।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ আয়োজিত ‘মুজিব শতবর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কর্তৃক জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবটি যথার্থ। বাংলার মানুষ সুযোগ পেলে অনেক আগেই সেটি বাতিল করত।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডটি কোন ব্যক্তির হত্যাকান্ড নয়। এটি সোনার বাংলাকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরত্বগাঁথা ও ইতিহাসকে উল্টোপথে প্রবাহিত করা হয়েছে। এরশাদ, খালেদা জিয়া এক সুরে কথা বলেছেন, একই পথে হেঁটেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে যারা দেশ পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন তারা ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছি। উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, আমরা রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাইনি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ছিলাম না। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে যা পেয়েছি, সেই কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ গড়ে তুলতে চাই। আমরা রাজনীতি করি। যার নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাড. এস কে সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুরাদ হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ড. নাসির উদ্দিন খান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের খেতাব রাখতে দেয়া যায়না : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৩৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভয়েস রিপোর্ট

বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমান বেনিফিসিয়ারি। ৭৫’ পরবর্তী সময়ে জাতির পিতার খুনিদের তিনি লালন পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত’ করেছিলেন জিয়াউর রহমানই। বঙ্গবন্ধু খুনিদের সংসদে এনেছেন জিয়া। এরশাদ, খালেদা জিয়াও সেই পথে হেটেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছে। সেহেতু পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ হওয়ায় জিয়ার শাসনামল অবৈধ। তার সকল কার্যক্রম অবৈধ। তার সকল কর্মকান্ড রাষ্ট্রবিরোধী। তিনি অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের লালন করেছেন। জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব রাখতে দেয়া যায়না।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ আয়োজিত ‘মুজিব শতবর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কর্তৃক জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবটি যথার্থ। বাংলার মানুষ সুযোগ পেলে অনেক আগেই সেটি বাতিল করত।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডটি কোন ব্যক্তির হত্যাকান্ড নয়। এটি সোনার বাংলাকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরত্বগাঁথা ও ইতিহাসকে উল্টোপথে প্রবাহিত করা হয়েছে। এরশাদ, খালেদা জিয়া এক সুরে কথা বলেছেন, একই পথে হেঁটেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে যারা দেশ পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন তারা ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছি। উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, আমরা রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাইনি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ছিলাম না। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে যা পেয়েছি, সেই কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ গড়ে তুলতে চাই। আমরা রাজনীতি করি। যার নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাড. এস কে সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুরাদ হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ড. নাসির উদ্দিন খান।