ছবি সংগ্রহ
জিয়ার জানাজায় হাজারো মানুষের সমাগম থাকলেও কফিনে মরদেহ ছিল কি না, সে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। মানুষ একজন প্রেসিডেন্টের জানাজা পড়েছে, কিন্তু কফিনে যে মরদেহ ছিলো
কিনা তাতো দেখেনি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের জানাজায়ও হাজারো মানুষের উপস্থিতি থাকলেও কফিনে তো তার মরদেহ ছিল না।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড শীর্ষক’ আলোচনায় অনলাইনে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তথা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, হাজার লোক জানাজা পড়া আর কফিনে মরদেহ থাকা এক নয়। কফিনে জিয়াউর রহমানের মরদেহ ছিল না। বিএনপি সত্যকে গোপন করে রাখতে পারবে না। ইতিহাসে সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায়, কিন্তু ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।
কাদের বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবরে গিয়ে যে মারামারি করল বিএনপি, তারা জানে না যে সেখানে জিয়ার কবর নাই, জিয়া নাই ওখানে, জিয়ার মরদেহ নাই? তারা তো ভালোই জানে। তাহলে এত নাটক করে কেন? খালেদা জিয়াও ভালোভাবে জানে।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় যেতে চায়, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারী একটি চক্র। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। দেশের অগ্রযাত্রা টিকিয়ে রাখতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমতুল্লাহ, অ্যালামনাই
অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।