জাতিকে অনিশ্চয়তায় না রেখে দ্রুত ভোট দিন:মির্জা ফখরুল

- আপডেট সময় : ১০:১৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
যতটুকু পরিবর্তন করা ও সংস্কার দরকার ততটুকু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন। নির্বাচন কমিশন আর প্রশাসনকে ঠিক করতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে ঠিক করতে হবে। এটা ঠিক করুন। ভোট কবে হবে তার রোডম্যাপ দিন।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, জাতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে না রেখে দ্রুত ভোট দিন। ভোট তাড়াতাড়ি দিলে একটা সরকার আসবে। যার পেছনে জনগণ থাকবে। যত বড় লোক দিয়েই সরকার চলুক পেছনে জনগণ থাকতে হবে। যতটুকু পরিবর্তন সংস্কার করা দরকার তা করে ভোট দিন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক দলের কাছে অনুরোধ করবো, এমন কোন কথা বলবেন না- যাতে রাজনৈতিক ঐক্য বিনষ্ট হয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্বশীলদের মত কাজ করতে চাই।
এ সময় ফখরুল বলেন, লাকসাম সেই এলাকা যেখানে মানুষ সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে আওয়ামী লীগের হাতে। আপনাদের একজন মন্ত্রী ছিল তাজুল ইসলাম! তার অত্যাচার নির্যাতনে এলাকার মানুষ এখানে আসতে পারতো না। বাড়ি ঘর ভেঙে দিতো। তুলে নিয়ে যেতো। ঘরে যা থাকতো সব ভেঙে চুরে দিত। একটা ত্রাসের রাজত্ব ছিল। তারা এখন কোথায়? যারা অত্যাচার নির্যাতন অবিচার করে তাদের পরিণতি এরকমই হয়। তাদেরকে হাসিনা ও তাজুল ইসলামের মত পালিয়ে যেতে হয়।
১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সালে স্বাধীনতার পর যে ক্ষমতায় বসে ছিল তা দুঃখজন। এরপর তার মেয়ে এদেশের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট, প্রশাসন-সব ধ্বংস করেছে।
বিগত বছরগুলোতে তারা এসব কাজ করে গেছে। গত তিনটা ভোটে কেউ ভোট দিতে পারেনি। চেয়ারম্যান, উপজেলা কোন ভোটে ভোট দিতে পারেনি। ভোটের কোন দরকারই ছিল না। আগের রাতেই সিল মারা হয়ে যেত। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত ঘোষণা করে সরকার গঠন করেছিল। সব শেষ ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছিল সেটি ডামি ইলেকশন। আওয়ামী লীগের ক্যান্ডিডেট, প্রতিপক্ষও আওয়ামী লীগ। সুতরাং আমার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়ার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি স্লোগান দিয়েছিলেন টেইকব্যাক বাংলাদেশ।
লাকসাম থেকে গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হিরু ও হুমায়ুন পারভেজের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, লাকসাম থেকে দু’জন গুম হয়। একজনের ডাকতাম সাইফুল ইসলাম হিরো আরেকজন হুমায়ুন পারভেজ। তাদের সন্তানরা এখানে আছে। তাদের বাবা গুম হওয়ার পর যখন বেগম জিয়ার সাথে তারা দেখা করতে গিয়েছিল তাদের চেহারা এখনো মনে পড়লে বুক ফেটে যায়। তারা মনে করে তাদের বাবা এখনো ফিরবে মাথায় হাত রাখবে। ওরা আমাদের বিশ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, গুম করেছে। এখানে এমন কোন লোক নাই যার বিরুদ্ধে মামলা নাই সবার বিরুদ্ধে মামলা আছে।