জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে বাংলাদেশে বর্ষবরণ
- আপডেট সময় : ০৭:১৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২৫ বার পড়া হয়েছে
অনিরুদ্ধ
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান কতটা জাঁকজমকপূর্ণ হতে পারে তার স্বাক্ষী বাংলাদেশ। আশপাশের কোন তল্লাটে পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ বরণ আয়োজন এতো বর্ণিল হয় বলে জানা নেই। বিশ্বমানব কুলের কল্যাণ কামনায় ঢাকার চারুকলা অনুষদ প্রতি বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে থাকে। মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের প্রতিপ্রাদ্য বিষয় হচ্ছে, জীবননান্দ দাশের কবিতা থেকে ‘আমরা তো তিমির বিনাশী’।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে, নতুন বর্ষবরণ উৎসব। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশের ঢাকায় শুরু হয়। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব হিসাবে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণ তৈরিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহোযোগীতা রয়েছে। পহেলা বৈশাখে ঢাকার শাহবাগ-রমনা এলাকায় এই আনন্দ শোভাযাত্রার অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এতে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিয়ে থাকে।
রমনার বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনে বৈশাখী অনুষ্ঠানের আয়োজন ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলাসহ নানা ধরণের আয়োজনে মেতে ওঠে উৎসব প্রিয় বাঙালি। দিবসটিকে ঘিরে বর্ণিল উৎসবে মাতে ওঠে বাংলাদেশ। ভোরের নরম আলো রাঙিয়ে দেয় নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা সম্ভাবনাকে। দেশজুড়ে বর্ষবরণের নানা আয়োজন বলে দেয় কতটা উৎসব প্রিয় বাঙলী।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন লোকজ উৎসব। ঢাকায় বর্ণিল উৎসবের মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে বরণ করা হয়েছে। মানবকল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ। রোববার ভোর থেকেই সব বয়সী মানুষ সাজগোজ করে সপরিবারে বেড়িয়ে পড়েন। সবার ঠিকানা রমনা-সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা।
এদিন ভোরে রমটনার বটমূলে ছয়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে এসো হে বৈশাখ সঙ্গীতের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে। দিবসটিকে ঘিরে বর্ণিল উৎসবে মাতে ওঠে বাংলাদেশ। ভোরের নরম আলো রাঙিয়ে দেয় নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা সম্ভাবনাকে। দেশজুড়ে বর্ষবরণের নানা আয়োজন বলে দেয় কতটা উৎসব প্রিয় বাঙলী। কতটা জাঁকজমকপূর্ণ বাংলা নববর্ষের আয়োজন হতে পারে তার স্বাক্ষী ঢাকা।
সকাল সাড়ে নটা নাগাদ মঙ্গল শোভাযাত্রার ঢাকে কাঠি পড়ে। ইউনেস্কো স্বীকৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া হাজারো মানুষ হর্ষধ্বনি দিয়ে জানান দেন তারা প্রস্তুত। বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ এমন এক উৎসব যা কিনা হৃদয়ে রঙ ছড়ায়। খড়তাপকে উপেক্ষা করে হাজারো মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দেয়।
ঢাকায় যেখানে পা পড়ে, সেখানেই উৎসবের আমেজ। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন সমাজকল্যান মন্ত্রী ডা. দিপু মনি। বিশ্বের মানবকুলের মঙ্গল কামনায় এই মানব মিছিলে হাঁটেন শিক্ষক-লেখক, শিল্পী, সংস্কৃতি ও সমাজকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। বাংলাদেশজুড়ে চলছে নানা আয়োজন। প্রতিটি বিভাগে বর্ষবরণ আয়োজনে মেতে ওঠেছে লাখো মানুষ।