ছবি সংগ্রহ
শুরু হয়ে গিয়ে বর্ষা। নদ-নদীতে ফুঁসে ওঠছে জল। এ অবস্থায় জলপথ ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা পণ্যপরিবহনের বিষয়ে তৈরি হয়ে গিয়েছেন। উজানের ঢলে সঙ্গে বৃষ্টি দু’য়ে মিলে জল বেড়ে মেঘনা-গোমতী আর শীতলক্ষায় যৌবন উঁকি দিচ্ছে।
এমনি পরিস্থিতিতে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোয় বাংলাদেশি পণ্যবোঝাই কার্গো করে পণ্যপরিবহনের উপযুক্ত সময়। অসমের ধুবড়ি, শিলঘাট ও পান্ডু, পূর্বাঞ্চলে গোমতী নদীর বুক চিরে ত্রিপুরার সোনামুড়া, আমুগঞ্জ থেকে অসমের করিমগঞ্জ-বদরপুরে যাবে বাংলাদেশি সিমেন্ট।
প্রধান নদ-নদীর জল বাড়ছে। জল বাড়লেও এখনও পর্যন্ত বন্যার পূর্বাভাস দেয়নি জল উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত পদ্মায় জল বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর জলও সমানতালে বাড়ছে। যা ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার জল ৪৮ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকতে পারে।
জানা গিয়েছে, কয়েক দিন ধরে অসমে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত বাড়ছে দেশেও। টানা ভারি বর্ষণ হলে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীর ১০১টি পয়েন্টের মধ্যে বৃহস্পতিবার ৪১টিতে পানি বেড়েছে এবং কমেছে ৫৩টি পয়েন্টে। অপরিবর্তিত ছয়টি পয়েন্টে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার হয়ে আসাম অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। অন্য লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।