জলবায়ু বান্ধব এয়ারকুলার রপ্তানিতে সহায়তা করছে সরকার : পরিবেশমন্ত্রীজলবায়ু বান্ধব এয়ারকুলার রপ্তানিতে সহায়তা দিচ্ছে সরকার : পরিবেশমন্ত্রী

- আপডেট সময় : ১১:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬৯ বার পড়া হয়েছে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ওজোনস্তরের সুরক্ষায় দেশে চালু হওয়া হাইড্রো ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ফেজ আউট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান দ্বিতীয় স্টেজে জলবায়ু বান্ধব বিকল্প প্রযুক্তিকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় স্টেজের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত এয়ারকুলার বিদেশে রপ্তানির পথ উন্মুক্ত হবে। এজন্য সরকার রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং পণ্য উৎপাদকদের জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট
প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ প্রদান করছে। শাহাব উদ্দিন আজ পরিবেশ অধিদপ্তরে ‘মন্ট্রিল প্রটোকল মেনে ওজোনস্তর রক্ষা করি, নিরাপদ খাদ্য ও প্রতিষেধকের শীতল বিশ্ব গড়ি’ প্রতিপাদ্যেকে উপজীব্য করে বিশ্ব ওজোন দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সরকার রপ্তানি উন্নয়নের লক্ষ্যে তৈরী পোশাক শিল্পের পর অন্যতম সেক্টর হিসেবে রেফ্রিজারেশনকে এগিয়ে নিচ্ছে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, রূপান্তরিত এসিগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হলে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ওজোনস্তর রক্ষায় গৃহীত ভিয়েনা কনভেনশন এবং মন্ট্রিল প্রটোকলের সফলতার এক গর্বিত অংশীদার। বর্তমান করোনা ভাইরাসের মহামারি মোকাবেলায় খাদ্য ও টিকা সংরক্ষণে রেফ্রিজারেশন পদ্ধতি যুগোপযোগি ও পরিবেশবান্ধব করার ক্ষেত্রে মন্ট্রিল প্রটোকলের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নের সকল ধাপ যথাসময়ে সঠিকভাবে অতিক্রম করেছে এবং প্রটোকলের বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করছে। হাইড্রো ক্লোরোফ্লোরো কার্বনের ওজোনস্তর ক্ষয়ের সক্ষমতা অত্যন্ত কম হলেও বৈশ্বিক উষ্ণতা সৃষ্টির ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। তাই বর্তমানে এয়ারকন্ডিশনার, অগ্নি নির্বাপন ও ফোম সেক্টরে ব্যবহৃত
এইচসিএফসি ফেজ আউট করার কাজ চলছে। পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে কিগালি সংশোধনীর মাধ্যমে শুধু ওজোনস্তরের রক্ষাকল্পেই নয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও মন্ট্রিল প্রটোকল একইভাবে সাফল্য লাভ করবে।
পরিবেশ সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত
সচিব (পরিবেশ) মোঃ মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী প্রমুখ।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওডিএস প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়াউল হক। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ নেন।
অনুষ্ঠানে ইনোভেশন পুরস্কার ২০২০, জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০ এবং পরিবেশ অলিম্পিয়াড পুরস্কার ২০২১ প্রদান করেন পরিবেশমন্ত্রী।