ঢাকা ০১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসা সরঞ্জামের দ্বিতীয় চালান বাংলাদেশকে হস্তান্তর যুক্তরাষ্ট্রের

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ ২০৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত বছরের মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ৮৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি স্বাস্থ্য সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে বৃহস্পতিবার দেয়া স্বাস্থ্যসেবাদানকারী পেশাজীবীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ও হাতের আঙ্গুল থেকে শরীরের অক্সিজেন মাত্রা নিরূপণের যন্ত্র অক্সিমিটার রয়েছে। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-র মাধ্যমে বাংলাদেশি জনগণের জীবন রক্ষায় ও কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে এবং জরুরি স্বাস্থ্য চাহিদা পূরণে সহায়তা করতে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের দ্বিতীয় সরবরাহটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই সহায়তার মধ্য দিয়ে শুধু মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের মোট স্বাস্থ্য সহায়তার পরিমাণ ৮৪ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা চিকিৎসা সরঞ্জামের দ্বিতীয় সরবরাহকে স্বাগত জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা উইং এর পরিচালক মিস সেহেলি সাব্রিনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ জোঅ্যান ওয়াগনার এবং ইউএসএআইডি-র মিশন ডিরেক্টর ডেরিক এস. ব্রাউন।

জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের সর্বশেষ এই সরবরাহটি ইউএসএআইডি, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের জরুরি সেবা কার্যালয় এবং স্বাস্থ্যসেবাদানকারী পেশাজীবীদের আমেরিকান কোম্পানি হেনরি শাইন ইনকের যৌথ অনুদান। এর আগে গত ৭ জুন মার্কিন একটি সামরিক বিমান কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য দরকারি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী ঢাকায় পৌঁছে দিয়েছিল।

এই দুটো সরবরাহ বাংলাদেশের মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের চলমান প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত হলো। উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্র মহামারির শুরু থেকে এই রোগ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে জোরদার করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছ। জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের সাম্প্রতিক সরবরাহগুলো বাংলাদেশকে দেওয়া মার্কিন সরকারের মোট সহায়তার পরিমাণ আরো ২ মিলিয়ন বৃদ্ধি করলো।

এই সহায়তা করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবন বাঁচাতে ও চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার সামর্থ্য ও নজরদারি বাড়াতে সহায়তা করছে। এ ছাড়াও কোভিড-১৯ রোগ ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চর্চাগুলো জোরদার করা, সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটানো, সম্মুখসারিতে কাজ করছে যারা তাদেরকে সুরক্ষা দেওয়া এবং ভাইরাসটি সম্পর্কে জনসাধারণের জ্ঞান বৃদ্ধিতে কাজে লাগছে।

এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র কোভিড মোকাবিলায় ইতোপূর্বে সর্বাধুনিক ১০০টি ভেন্টিলেটর এবং বাংলাদেশ যাতে নিজেরাই ভেন্টিলেটর উৎপাদন করতে পারে সেই লক্ষ্যে গ্যাস অ্যানালাইজার দিয়েছে। অন্যান্য সহায়তার মধ্যে আরো রয়েছে বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কয়েক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই, কেএন৯৫ সার্জিকেল মাস্ক, ফেস শিল্ড বা মুখের বর্ম, হ্যাজমেট স্যুট, পুরো শরীর ঢাকার গাউন, মেডিকেল-গ্রেড হ্যান্ড

স্যানিটাইজার, সার্জিকেল গ্লাভস, মেডিকেল গগলস) সংগ্রহ করে চিকিৎসা কেন্দ্র, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রথম সাড়াদানকারী ও শুল্ক পরিদর্শকদের মাঝে বিতরণ করা। পাশাপাশি দেশব্যাপী করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক এবং অন্যান্য সম্মুখসারির কর্মীদের সেবার মান বাড়াতে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান।

এই স্বাস্থ্য সহায়তাগুলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সরবরাহকৃত ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি স্বাস্থ্য সহায়তার সাথে যুক্ত হলো। যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য মানসম্মত, জীবনরক্ষাকারী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে মার্কিন সরকারের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতির পুনর্ব্যক্তকরণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চিকিৎসা সরঞ্জামের দ্বিতীয় চালান বাংলাদেশকে হস্তান্তর যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় : ১০:০৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

গত বছরের মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ৮৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি স্বাস্থ্য সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে বৃহস্পতিবার দেয়া স্বাস্থ্যসেবাদানকারী পেশাজীবীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ও হাতের আঙ্গুল থেকে শরীরের অক্সিজেন মাত্রা নিরূপণের যন্ত্র অক্সিমিটার রয়েছে। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-র মাধ্যমে বাংলাদেশি জনগণের জীবন রক্ষায় ও কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে এবং জরুরি স্বাস্থ্য চাহিদা পূরণে সহায়তা করতে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের দ্বিতীয় সরবরাহটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই সহায়তার মধ্য দিয়ে শুধু মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের মোট স্বাস্থ্য সহায়তার পরিমাণ ৮৪ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা চিকিৎসা সরঞ্জামের দ্বিতীয় সরবরাহকে স্বাগত জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা উইং এর পরিচালক মিস সেহেলি সাব্রিনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ জোঅ্যান ওয়াগনার এবং ইউএসএআইডি-র মিশন ডিরেক্টর ডেরিক এস. ব্রাউন।

জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের সর্বশেষ এই সরবরাহটি ইউএসএআইডি, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের জরুরি সেবা কার্যালয় এবং স্বাস্থ্যসেবাদানকারী পেশাজীবীদের আমেরিকান কোম্পানি হেনরি শাইন ইনকের যৌথ অনুদান। এর আগে গত ৭ জুন মার্কিন একটি সামরিক বিমান কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য দরকারি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী ঢাকায় পৌঁছে দিয়েছিল।

এই দুটো সরবরাহ বাংলাদেশের মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের চলমান প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত হলো। উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্র মহামারির শুরু থেকে এই রোগ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে জোরদার করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছ। জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের সাম্প্রতিক সরবরাহগুলো বাংলাদেশকে দেওয়া মার্কিন সরকারের মোট সহায়তার পরিমাণ আরো ২ মিলিয়ন বৃদ্ধি করলো।

এই সহায়তা করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবন বাঁচাতে ও চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার সামর্থ্য ও নজরদারি বাড়াতে সহায়তা করছে। এ ছাড়াও কোভিড-১৯ রোগ ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চর্চাগুলো জোরদার করা, সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটানো, সম্মুখসারিতে কাজ করছে যারা তাদেরকে সুরক্ষা দেওয়া এবং ভাইরাসটি সম্পর্কে জনসাধারণের জ্ঞান বৃদ্ধিতে কাজে লাগছে।

এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র কোভিড মোকাবিলায় ইতোপূর্বে সর্বাধুনিক ১০০টি ভেন্টিলেটর এবং বাংলাদেশ যাতে নিজেরাই ভেন্টিলেটর উৎপাদন করতে পারে সেই লক্ষ্যে গ্যাস অ্যানালাইজার দিয়েছে। অন্যান্য সহায়তার মধ্যে আরো রয়েছে বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কয়েক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই, কেএন৯৫ সার্জিকেল মাস্ক, ফেস শিল্ড বা মুখের বর্ম, হ্যাজমেট স্যুট, পুরো শরীর ঢাকার গাউন, মেডিকেল-গ্রেড হ্যান্ড

স্যানিটাইজার, সার্জিকেল গ্লাভস, মেডিকেল গগলস) সংগ্রহ করে চিকিৎসা কেন্দ্র, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রথম সাড়াদানকারী ও শুল্ক পরিদর্শকদের মাঝে বিতরণ করা। পাশাপাশি দেশব্যাপী করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক এবং অন্যান্য সম্মুখসারির কর্মীদের সেবার মান বাড়াতে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান।

এই স্বাস্থ্য সহায়তাগুলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সরবরাহকৃত ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি স্বাস্থ্য সহায়তার সাথে যুক্ত হলো। যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য মানসম্মত, জীবনরক্ষাকারী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে মার্কিন সরকারের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতির পুনর্ব্যক্তকরণ।