ঢাকা ০১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনকল্যাণে সমুদয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি `দান করে নজির গড়লেন বাবা ও মেয়ে!

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১ ২১৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রবীণ রাজনীতিক আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি : ফাইল ছবি

‘নিজেই বললেন, তিনি এখন জীবন সায়াহ্নে উপনীত, জীবনের এই পর্যায়ে তাঁর কোনো বৈষয়িক চাহিদা নেই। তিনি অনেক সম্পদশালী ব্যক্তি নন, তবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সাধারণ মানুষের কল্যাণে দান করার। মেয়ের সম্পত্তি ফাউন্ডেশনে দান করে বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’

তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও প্রবীণ রাজনীতিক। বর্তমানে শাষকদল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। তিনি তোফায়েল আহমেদ এমপি। দক্ষিণাঞ্চলের ভোলার কৃতি সন্তান তোফায়েল আহমেদ।

এই মহতী কাজটি সম্পাদনের আগে বন্ধু-বান্ধবদের সহযোগিতায় একটি ট্রাস্টের আওতায় জনহিতকর কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। এখন নিজের সম্পত্তি দান করে ‘তোফায়েল আহমেদ ফাউন্ডেশন’ নামের মাধ্যমে এই কর্মকাণ্ডগুলো বিস্তৃতভাবে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জানালেন, ‘আমার মেয়ে তার সম্পত্তি ফাউন্ডেশনে দান করে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।’

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার মন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ ১৯৪৩ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় জন্মগ্রহণ করেন। ৬০’র দশকের শেষের দিকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন তিনি এক কিংবদন্তি ছাত্রনেতায় পরিণত হন।

৯ মাসের দীর্ঘ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একাত্তরে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এ সময়ে তোফায়েল আহমেদও অন্যতম মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন।

সমূদয় সম্পত্তি দান করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি তাকে অনুপ্রাণিত করেছে? জবাবে বলেন, ‘আধ্যাত্মিক অনুভূতি থেকে যদি বলি, কোনো মানুষ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় তার সম্পত্তি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন না।’

তার মতে, ‘আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট তাঁর নিকটজনদের বলেছিলেন- মৃত্যুর পর তাঁকে যখন কফিনে করে কবরে নিয়ে যাওয়া হবে, তখন যেন তাঁর দুটি হাত কফিনের বাইরে বের করে রাখা হয়। যাতে মানুষ জানতে পারেন যে, তিনি খালি হাতে দুনিয়ায় এসেছিলেন এবং খালি হাতেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছেন।’

ফাউন্ডেশন মূলত সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানে হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম এবং শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি স্কুল, কলেজ, নান্দনিক একটি মসজিদ ও অনাথ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছি। ফাউন্ডেশন এখন এসব কল্যাণমূলক কার্যক্রমকে প্রসারিত করবে।’

এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেন, তার গ্রামের কিছু স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, ১৮০ বিঘা জমির ওপর একটি খামার এবং ঢাকার বনানীতে স্ত্রীর মালিকানায় একটি বাড়ি রয়েছে। এগুলো এখন ফাউন্ডেশনের নামে থাকবে।

জানা গিয়েছে, এর আগেও জনহিতকর কর্মকাণ্ড চালানোর অংশ হিসেবে কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট দান করেছেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জনকল্যাণে সমুদয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি `দান করে নজির গড়লেন বাবা ও মেয়ে!

আপডেট সময় : ০৯:১৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

প্রবীণ রাজনীতিক আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি : ফাইল ছবি

‘নিজেই বললেন, তিনি এখন জীবন সায়াহ্নে উপনীত, জীবনের এই পর্যায়ে তাঁর কোনো বৈষয়িক চাহিদা নেই। তিনি অনেক সম্পদশালী ব্যক্তি নন, তবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সাধারণ মানুষের কল্যাণে দান করার। মেয়ের সম্পত্তি ফাউন্ডেশনে দান করে বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’

তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও প্রবীণ রাজনীতিক। বর্তমানে শাষকদল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। তিনি তোফায়েল আহমেদ এমপি। দক্ষিণাঞ্চলের ভোলার কৃতি সন্তান তোফায়েল আহমেদ।

এই মহতী কাজটি সম্পাদনের আগে বন্ধু-বান্ধবদের সহযোগিতায় একটি ট্রাস্টের আওতায় জনহিতকর কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। এখন নিজের সম্পত্তি দান করে ‘তোফায়েল আহমেদ ফাউন্ডেশন’ নামের মাধ্যমে এই কর্মকাণ্ডগুলো বিস্তৃতভাবে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জানালেন, ‘আমার মেয়ে তার সম্পত্তি ফাউন্ডেশনে দান করে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।’

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার মন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ ১৯৪৩ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় জন্মগ্রহণ করেন। ৬০’র দশকের শেষের দিকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন তিনি এক কিংবদন্তি ছাত্রনেতায় পরিণত হন।

৯ মাসের দীর্ঘ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একাত্তরে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এ সময়ে তোফায়েল আহমেদও অন্যতম মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন।

সমূদয় সম্পত্তি দান করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি তাকে অনুপ্রাণিত করেছে? জবাবে বলেন, ‘আধ্যাত্মিক অনুভূতি থেকে যদি বলি, কোনো মানুষ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় তার সম্পত্তি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন না।’

তার মতে, ‘আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট তাঁর নিকটজনদের বলেছিলেন- মৃত্যুর পর তাঁকে যখন কফিনে করে কবরে নিয়ে যাওয়া হবে, তখন যেন তাঁর দুটি হাত কফিনের বাইরে বের করে রাখা হয়। যাতে মানুষ জানতে পারেন যে, তিনি খালি হাতে দুনিয়ায় এসেছিলেন এবং খালি হাতেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছেন।’

ফাউন্ডেশন মূলত সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানে হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম এবং শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি স্কুল, কলেজ, নান্দনিক একটি মসজিদ ও অনাথ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছি। ফাউন্ডেশন এখন এসব কল্যাণমূলক কার্যক্রমকে প্রসারিত করবে।’

এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেন, তার গ্রামের কিছু স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, ১৮০ বিঘা জমির ওপর একটি খামার এবং ঢাকার বনানীতে স্ত্রীর মালিকানায় একটি বাড়ি রয়েছে। এগুলো এখন ফাউন্ডেশনের নামে থাকবে।

জানা গিয়েছে, এর আগেও জনহিতকর কর্মকাণ্ড চালানোর অংশ হিসেবে কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট দান করেছেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।