জকিগঞ্জে হতে পারে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র

- আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ ২৪৭ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
জকিগঞ্জে গ্যাসকূপের সন্ধান
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জ পৌরসভার আনন্দপুর গ্রামের ফায়ার স্টেশন লাগোয়া একটি কৃষিজমিতে গ্যাস সন্ধ্যান মিলেছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র। এমনটিই মনে করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।
বুধবার বাপেক্সের প্রতিনিধিদল সার্বিক বিষয় পরীক্ষা করার জন্য ঢাকা থেকে সিলেটে যাবেন। বাপেক্স তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার বেলা ১১টানাগাদ কূপের মুখে আগুন জ্বালিয়ে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, কূপে গ্যাসের চাপ রয়েছে ১১ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি)।
বাপেক্সের প্রকল্প পরিচালক কবির আহমেদ বলেন, উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে প্রাথমিকভাবে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ড্রিল স্টিম টেস্টের (ডিএসটি) পর সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয়েছেন।

তার মতে, কূপের গভীর অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই। আর ফ্লটিং চাপ প্রায় ১৩ হাজারের অধিক। এ কূপের চারটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরের পরীক্ষা চলমান। দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাপ পাওয়া গিয়েছে।
বাপেক্সের এ প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, আগামী দুদিন আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলবে। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যাবে কী পরিমাণ গ্যাস মজুত এবং কী পরিমাণ উত্তোলন করা সম্ভব।
বাপেক্সের সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কূপে গ্যাসের চাপ তারা পেয়েছেন ১১ হাজার পিএসআই। এই চাপের ওপর ভিত্তি করে এটিকে এখনও গ্যাসক্ষেত্র বলা সম্ভব নয়। এটি মূলত প্রথম স্তরের পরীক্ষা।
আরও দু’বার করবে পরীক্ষা করবে বাপেক্স। গ্যাসের চাপের ওপর ভিত্তি করে বুধবার বলা যাবে এই কূপ থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব কিনা। বিষয়টি নিশ্চিত হবার পরই এটিকে নতুন গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা করবে বাপেক্স।
জানা গেছে, কূপটিতে চার স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কূপের ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে গোলাপগঞ্জের অবস্থান। সেখানেও গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ছয় টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসাবে প্রমাণিত মজুত অবশিষ্ট রয়েছে তিন টিসিএফ। সম্ভাব্য মজুত রয়েছে সাত টিসিএফ।