ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ছাড়পত্র মেলেনি ‘মেকআপ ছবি’র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১ ২১৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একজন চলচ্চিত্র তারকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান : ছবি সংগৃহীত

ভয়েস ডিজিটার ডেস্ক

সেন্সর ছাড়পত্র মেলেনি ‘মেকআপ ছবি’র। কারণ ‘মেকআপ’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অযোগ্য। নির্মিত ছবিটিতে ১৫টি দৃশ্যের সংলাপে আপত্তি জানিয়ে ছাড়পত্র আটকে দেওয়া হয়েছে। এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিনের বয়ানে। নির্মাণ সম্পন্ন হবার পর ছাড়াপত্রের জন্য সেন্সর বোর্ডে দেওয়া হয়। ছবিটি দেখার পর জুড়িবোর্ড সম্মিলিত সিদ্ধান্তে জানিয়েছেন, ছবিটিতে দেশের মিডিয়াকে ছোট করে উপস্থাপনা করা হয়েছে। ছবিটি দেখে অনেকেই চলচ্চিত্রের মানুষদের ছোট করে দেখবেন। অনেকে পেশা হিসেবে এটাকে অসম্মানের চোখে দেখবেন। সে জন্য তাঁরা প্রায় ১৫টি দৃশ্যে সংলাপ ও গল্প নিয়ে আপত্তি জানান। ‘মেকআপ’ ছবির নির্মাতা অনন্য মামুন।

সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন বলেন, আমরা সেন্সর বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করি। সব সময় চেষ্টা থাকে, একটি ছবি সেন্সর শেষে ছাড়পত্রের পর সিনেমা তা প্রদর্শনীর জন্য অনুমতি মেলে। মুক্তির উদ্দেশ্যে ‘ ‘মেকআপ’ ছবিটি সেন্সরে জমা দিয়েছিলেন নির্মাতা। এটিদেখে বোর্ডের কাছে মনে হয়েছিল, এখানে সেন্সর নীতিমালার পরিপন্থী কিছু বিষয় আছে। যে কারণে আমরা ছবিটি পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়েছে, ছবিটি অপ্রদর্শনযোগ্য।

 

নির্মাতা অনন্য মামুনছবি : সংগৃহীত

একজন সুপারস্টারের জীবন নিয়ে ছবির গল্প। সুপারস্টার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান। ছবিতে তাঁর নাম শাহবাজ খান। ২০১৯ সালে সুনামগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও ঢাকার বেশ কিছু স্থানে ছবিটির শুটিং হয়। ছবিটির গল্পে তুলে ধরা হয়েছে মিডিয়ার অন্তরালের মানুষের গল্প। যার উপস্থাপন সেন্সর বোর্ডের ভাষায় ‘আপত্তিজনক’। কিন্তু নির্মাতা অনন্য মামুন জানালেন, এই ছবিতে আপত্তিজনক বা কাউকে ছোট করা হয়নি। এখানে একজন সুপারস্টারের জীবনের গল্প দেখানো হয়েছে, যা কোনো বাস্তব গল্প নয়। এটাকে অন্যভাবে দেখার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘এখানে আমি কারও পক্ষ–বিপক্ষ নিয়ে কিছু দেখানোর চেষ্টা করিনি। আমি নিজেও একজন পরিচালক। অন্য চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পীদের ব্যক্তিগত কিছু বিষয় গল্পের স্বার্থে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে কাউকে অসম্মান করা হয়নি। এভাবে একটা সিনেমাকে আটকে দেওয়া ঠিক নয়। একটা ছবিকে এভাবে আটকে দেওয়াটা চলচ্চিত্রশিল্পের ওপর আঘাত। এভাবে ভালো ছবি হবে না। এভাবে কোনো শিল্প হয় না।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ছাড়পত্র মেলেনি ‘মেকআপ ছবি’র

আপডেট সময় : ০৩:১৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

একজন চলচ্চিত্র তারকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান : ছবি সংগৃহীত

ভয়েস ডিজিটার ডেস্ক

সেন্সর ছাড়পত্র মেলেনি ‘মেকআপ ছবি’র। কারণ ‘মেকআপ’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অযোগ্য। নির্মিত ছবিটিতে ১৫টি দৃশ্যের সংলাপে আপত্তি জানিয়ে ছাড়পত্র আটকে দেওয়া হয়েছে। এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিনের বয়ানে। নির্মাণ সম্পন্ন হবার পর ছাড়াপত্রের জন্য সেন্সর বোর্ডে দেওয়া হয়। ছবিটি দেখার পর জুড়িবোর্ড সম্মিলিত সিদ্ধান্তে জানিয়েছেন, ছবিটিতে দেশের মিডিয়াকে ছোট করে উপস্থাপনা করা হয়েছে। ছবিটি দেখে অনেকেই চলচ্চিত্রের মানুষদের ছোট করে দেখবেন। অনেকে পেশা হিসেবে এটাকে অসম্মানের চোখে দেখবেন। সে জন্য তাঁরা প্রায় ১৫টি দৃশ্যে সংলাপ ও গল্প নিয়ে আপত্তি জানান। ‘মেকআপ’ ছবির নির্মাতা অনন্য মামুন।

সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন বলেন, আমরা সেন্সর বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করি। সব সময় চেষ্টা থাকে, একটি ছবি সেন্সর শেষে ছাড়পত্রের পর সিনেমা তা প্রদর্শনীর জন্য অনুমতি মেলে। মুক্তির উদ্দেশ্যে ‘ ‘মেকআপ’ ছবিটি সেন্সরে জমা দিয়েছিলেন নির্মাতা। এটিদেখে বোর্ডের কাছে মনে হয়েছিল, এখানে সেন্সর নীতিমালার পরিপন্থী কিছু বিষয় আছে। যে কারণে আমরা ছবিটি পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়েছে, ছবিটি অপ্রদর্শনযোগ্য।

 

নির্মাতা অনন্য মামুনছবি : সংগৃহীত

একজন সুপারস্টারের জীবন নিয়ে ছবির গল্প। সুপারস্টার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান। ছবিতে তাঁর নাম শাহবাজ খান। ২০১৯ সালে সুনামগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও ঢাকার বেশ কিছু স্থানে ছবিটির শুটিং হয়। ছবিটির গল্পে তুলে ধরা হয়েছে মিডিয়ার অন্তরালের মানুষের গল্প। যার উপস্থাপন সেন্সর বোর্ডের ভাষায় ‘আপত্তিজনক’। কিন্তু নির্মাতা অনন্য মামুন জানালেন, এই ছবিতে আপত্তিজনক বা কাউকে ছোট করা হয়নি। এখানে একজন সুপারস্টারের জীবনের গল্প দেখানো হয়েছে, যা কোনো বাস্তব গল্প নয়। এটাকে অন্যভাবে দেখার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘এখানে আমি কারও পক্ষ–বিপক্ষ নিয়ে কিছু দেখানোর চেষ্টা করিনি। আমি নিজেও একজন পরিচালক। অন্য চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পীদের ব্যক্তিগত কিছু বিষয় গল্পের স্বার্থে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে কাউকে অসম্মান করা হয়নি। এভাবে একটা সিনেমাকে আটকে দেওয়া ঠিক নয়। একটা ছবিকে এভাবে আটকে দেওয়াটা চলচ্চিত্রশিল্পের ওপর আঘাত। এভাবে ভালো ছবি হবে না। এভাবে কোনো শিল্প হয় না।