চীন-যুক্তরাষ্ট্র ‘লাল টেলিফোন’ যোগাযোগ স্থাপন করতে চায়

- আপডেট সময় : ০৯:৩৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১ ১৮২ বার পড়া হয়েছে
জো বাইডেন ও শি জিনপিং
‘যুক্তরাষ্ট্র মনে করে চীন ক্রমাগতভাবে সামরিক আগ্রাসনমুখী হয়ে উঠছে। এতে করে চীনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা বাড়ছে। আর সেই কারণে যোগাযোগ বাড়ানোর উপায় খোঁজা হচ্ছে’
স্নায়ু যুদ্ধের আমলে পারমাণবিক যুদ্ধ এড়াতে জরুরি পরিস্থিতিতে ক্রেমলিনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে লাল টেলিফোন সংযোগ স্থাপন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন।
এবারে সেই পথ অনুসরণ করে চীনের সঙ্গে জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
যদিও ধারণাটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং চীনের কাছেও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব এখনও তোলে যুক্তরাষ্ট্র। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এই খবর জানিয়েছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সংঘাতের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনের প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় বাইডেন প্রশাসন। এই ধরনের হটলাইন প্রতিষ্ঠিত হলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিংবা তার জাতীয় নিরাপত্তা দলের সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে বেইজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হবে।
এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর গতিবিধি কিংবা সাইবার হামলা নিয়ে সতর্কবার্তাও আদান প্রদান করা যাবে। এই ধরনের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এবারই প্রথম নয়।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে উদ্যোগটি আর আগোয়নি। বাইডেন প্রশাসন তা এগিয়ে নিতে চাইলেও এক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় এখনও চূড়ান্ত করতে বাকি রয়ে গিয়েছে।
অবশ্য চীনের সঙ্গে একই ধরনের একটি হটলাইন এখনই মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের সঙ্গে রয়েছে। এর মাধ্যমে কেবল সামরিক বিষয়েই তথ্য আদান প্রদান করা হয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ইন্দো-প্যাসিফিক সমন্বয়ক কার্ট ক্যাম্পবেল বলেন, ‘আমাদের একটা হটলাইন আছে। তবে এটা মাত্র কয়েকবারই ব্যবহার হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে চীন ক্রমাগতভাবে সামরিক আগ্রাসনমুখী হয়ে উঠছে। এতে করে চীনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা বাড়ছে। আর সেই কারণে যোগাযোগ বাড়ানোর উপায় খোঁজা হচ্ছে।