চীন থেকে ৬ লাখ টিকা আনতে বিমান পাঠানো হচ্ছে

- আপডেট সময় : ০৮:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে
চীন সরকারের উপহারের আরও ৬ লাখ টিকার চালান আনতে পাঠানো হচ্ছে, দু’টো সি-১৩০ বিমান। সব ঠিকঠাক থাকলে টিকা রবিবার বাংলাদেশে আসবে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা দিয়ে বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। সেরাম থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি হলেও ভারতে মহামারীর ভয়ঙ্কর রূপ নিলে টিকার রপ্তানি বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার পর বাংলাদেশে আর কোন টিকা পায়নি।
পরবর্তীতে টিকার জন্য চীনের দিকে হাত বাড়ায় বাংলাদেশ। চীন ইতোমধ্যে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে। যা ২৫ মে প্রয়োগ শুরু করা হয়।
পরবর্তীতে আরও ৬ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা উপহার দেওয়ার কথা জানায় চীন। সর্বশেষ চীনের দ্বিতীয় টিকা হিসেবে বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পায় সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি করোনার টিকা।
চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার পাশাপাশি বাংলাদেশে চীনা টিকা উৎপাদনের আলোচনাও চালাচ্ছে। রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি টিকা আমদানি এবং যৌথ উৎপাদনের আলোচনাও চলছে।
বিদেশমন্ত্রী বলেন, কোভিড ভ্যাকসিন যাতে আমরা দেশে উৎপাদন করতে পারি, সেই চেষ্টা করছি। এজন্য সবকিছু ইতিবাচক। আমরা আশা করি, খুব শিগগির ঘোষণাও করতে পারব। কোন ওষুধ কোম্পানিকে ওরা গ্রহণ করবে, এটা তাদের উপর নির্ভর করছে। তারা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে, তারপর সক্ষমতা দেখে তাদেরকে যৌথ উৎপাদনের সুযোগ দেবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সেই প্রত্যাশা করছি খুব দ্রুত হবে এসব কাজ। তখন আর কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য হাহাকার থাকবে না। আশা করি, আমরা রপ্তানিকারক হব।
চীন সরকারের পাশাপাশি চীনা কমিউনিস্ট পার্টিও চিকিৎসা সরঞ্জাম উপহার পাঠাচ্ছে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য বিভিন্ন রকম চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে। টিকার জন্য যাওয়া উড়োজাহাজেও একটা অংশ আসবে।
টিকা সার্বজনীন না হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে অনুষ্ঠানে হতাশা প্রকাশ করেন ড. মোমেন। বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রথম দিন থেকে বলে আসছিলেন, কোভিড ভ্যাকসিন হবে জনগণের সম্পত্তি, কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়া সব দেশের লোক এটা পাওয়া উচিত। এটা আমরা জোরালো বক্তব্য দিয়েছি।
এর বিপরীতে ধনী দেশগুলো মোট টিকার ৯৯ দশমিক ৭০ শতাংশ তাদের দখলে রাখার তথ্য উল্লেখ করে এই বৈষম্যের সমালোচনা করেন ড. মোমেন।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ২৫ মিলিয়ন। আমরা খবর পেয়েছি, তারা ৯৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে রেখে দিয়েছে। আমরা তাদেরকেও রিকুয়েস্ট করেছি দেওয়ার জন্য। তারাও বলেছে দিবে। সবাই বলে দিবে, কিন্তু হাতে আসছে না।