ঢাকা ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চারুকলা চত্বরেই হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস রিপোর্ট , ঢাকা

বসন্ত উৎসবের দরজা যখন বন্ধ হেয়েগিয়েছিলো, তখনই অনুমান করা হচ্ছিল, পহেলা বৈশাখের সার্বজনিন মঙ্গলশোভা যাত্রাও থেমে যেতে পারে। অবশেষে আশঙ্কাই সত্যি হলো। মঙ্গলশোভা যাত্রা হবে, তবে রাজপথকে সঙ্গী করে, দূরদুরান্ত থেকে আসা মানুষকে নিয়ে নয়। মাত্র শ’খানেক মানুষকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার চত্বরেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে মঙ্গলশোভা যাত্রা। সর্বনাশা কভিড জীবনের সব আনন্দ-উৎসবটুকুও কেড়ে নিয়েছে।  আর কতটা জীবন-বেচে থাকার অবলম্বন কেড়ে নিয়ে থামবে তুমি? মানবজাতিকে আর কতটা তলানিতে নিতে চাও কভিড?

গত এক বছরেরও অধিক সময় যাবত দুনিয়ার মানুব জাতিকে স্মারণকালের দুর্যেোগে ফেলে দিয়েছে কভিড-১৯।  গোটা দুনিয়া ভাইরাস ভয়ে অস্থির! পৃথিবীতে এরচেয়েও কঠিন ভাইরাস এসেছে। কিন্তু তার ব্যপ্তিটা ছিলো কোন একটি অঞ্চল নিয়ে। করোনা বা কভিড-এর মতো এমনভাবে দুনিয়াব্যাপী এবং মানুষ থেকে মানুষের ছড়ানোর মত ভয়ানক বিষয়টি ছিলো না।

যে কারণে, প্রতিটি দেশের সরকার নিজ দেশের মানুষকে রক্ষার এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আজ।

ফলে অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত নিতেই হচ্ছে। এতে কেবল মানুষের জীবনে প্রভাব পড়ছে, তা কিন্তু নয়। অর্থনীতির ওপরে ব্যাপক চাপ পড়ছে।

ফলে নতুন করে করোনার  ঊর্ধ্বমুখিতার কারণে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে উদযাপন করা হবে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮। চারুকলা অনুষদ চত্বরে ১০০ জনের একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা হবে। শোভাযাত্রাটি সীমাবদ্ধ থাকবে চারুকলা অনুষদ চত্বরেই।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে এক ভার্চুয়াল সভায় সেই  সিদ্ধান্তই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়া হল।

সভায় এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে জনসমাগম এড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় এবং সশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘরে বসে উপভোগের লক্ষ্যে এ বছর টেলিভিশন চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সভায় প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়াসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য এবং প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা সংযুক্ত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চারুকলা চত্বরেই হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা

আপডেট সময় : ১০:০৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১

ভয়েস রিপোর্ট , ঢাকা

বসন্ত উৎসবের দরজা যখন বন্ধ হেয়েগিয়েছিলো, তখনই অনুমান করা হচ্ছিল, পহেলা বৈশাখের সার্বজনিন মঙ্গলশোভা যাত্রাও থেমে যেতে পারে। অবশেষে আশঙ্কাই সত্যি হলো। মঙ্গলশোভা যাত্রা হবে, তবে রাজপথকে সঙ্গী করে, দূরদুরান্ত থেকে আসা মানুষকে নিয়ে নয়। মাত্র শ’খানেক মানুষকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার চত্বরেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে মঙ্গলশোভা যাত্রা। সর্বনাশা কভিড জীবনের সব আনন্দ-উৎসবটুকুও কেড়ে নিয়েছে।  আর কতটা জীবন-বেচে থাকার অবলম্বন কেড়ে নিয়ে থামবে তুমি? মানবজাতিকে আর কতটা তলানিতে নিতে চাও কভিড?

গত এক বছরেরও অধিক সময় যাবত দুনিয়ার মানুব জাতিকে স্মারণকালের দুর্যেোগে ফেলে দিয়েছে কভিড-১৯।  গোটা দুনিয়া ভাইরাস ভয়ে অস্থির! পৃথিবীতে এরচেয়েও কঠিন ভাইরাস এসেছে। কিন্তু তার ব্যপ্তিটা ছিলো কোন একটি অঞ্চল নিয়ে। করোনা বা কভিড-এর মতো এমনভাবে দুনিয়াব্যাপী এবং মানুষ থেকে মানুষের ছড়ানোর মত ভয়ানক বিষয়টি ছিলো না।

যে কারণে, প্রতিটি দেশের সরকার নিজ দেশের মানুষকে রক্ষার এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আজ।

ফলে অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত নিতেই হচ্ছে। এতে কেবল মানুষের জীবনে প্রভাব পড়ছে, তা কিন্তু নয়। অর্থনীতির ওপরে ব্যাপক চাপ পড়ছে।

ফলে নতুন করে করোনার  ঊর্ধ্বমুখিতার কারণে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে উদযাপন করা হবে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮। চারুকলা অনুষদ চত্বরে ১০০ জনের একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা হবে। শোভাযাত্রাটি সীমাবদ্ধ থাকবে চারুকলা অনুষদ চত্বরেই।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে এক ভার্চুয়াল সভায় সেই  সিদ্ধান্তই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়া হল।

সভায় এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে জনসমাগম এড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় এবং সশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘরে বসে উপভোগের লক্ষ্যে এ বছর টেলিভিশন চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সভায় প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়াসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য এবং প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা সংযুক্ত ছিলেন।