প্রায় মাস দু’য়েক পর শতভাগ গণপরিবহ চলাচল শুরু হলো। গণপরিবহনের স্টাফ এবং যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের নির্দেশনা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মান্যতায় উদাসিনতা লক্ষা করা গিয়েছে।
করোনার প্রাদুর্ভব রুখতে এবং সাধারণ মানুষকে রক্ষায় গত ১ জলাই থেকে কঠোর লকডাউনের পথে হাটে সরকার।
মাঝে একাধিবার শিথিলতা আসে। সর্বশেষ কোরবাণীর ঈদকে সামনে রেখে অটদিনের শিথিলতার পর ২৩ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত টানা লকডাউন চলে। ১১ আগস্ট থেকে অনলক হয়
বাংলাদেশ। এদিন সীমিত আকারে সকল প্রকারের গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশ দেয় সরকার। পরবর্তীতে ১৯ জুলাই তথা বৃহস্পবিার থেকে শতভাগ গণপরিবহন চলাচল উন্মুক্ত করে সরকার।এদিন থেকেই ঢাকায় রাস্তা ফিরে পায় তার পুরানো চেহারা। রাস্তায় গণপরিবহনসহ সকল ধরণের
যানবাহনের মিছিল। প্রশাসনের তরফে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও তা নেওয়া চিত্র খুব একটা সন্তোষজনক নয়। শতভাগ গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে বেশ কিছু
নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এক সংবাদবার্তায় বিআরটিএ বলেছে, গণপরিহনের আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন
এবং দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী নেওয়া যাবে না। নেওয়া যাবে না বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়া। গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপার-কাম ক্লিনার এবং টিকিট
বিক্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাত্রার শুরু ও শেষে যানবাহন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ
জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। গাড়ির মালিকের পক্ষ থেকে যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।