ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩, ২৮ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চতুর্থ দফার অবরোধের আগের ৭ বাসে আগুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩ ২ বার পড়া হয়েছে

শনিবার রাতে ঢাকার আরামবাগে বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা : ছবি সংগ্রহ

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীদের ডাকে চতুর্থ দফার অবরোধের আগের রাতে হিংসার আগুনে পুড়লো

৭ বাস। সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রবিবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা

পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো। শনিবার রাতে ঢাকায় সাতটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

এদিন দিনের  বেলা আশুলিয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেওয়ার খবর  পাওয়া গেছে। রাত ৮টা থেকে বিভিন্ন এলাকায়

৬টি বাসে আগুন দেওয়ার হয়। বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ শুরুর আগে ও চলার সময় চোরাগোপ্তা হামলাকারীদের ধরতে

ঢাকার গণপরিবহনগুলোতে যাত্রী বেশে  গোয়েন্দা সদস্যরা অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান হারুন-অর-রশীদ।

ঢাকায় বসানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোতেও  সার্বক্ষণিক নজর রাখবেন গোয়েন্দারা। ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ প্রত্যাখ্যান করে সারাদেশে

বাস-মিনিবাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন চালু  রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। শনিবার ঢাকা সড়ক

পরিবহন মালিক সমিতির বিজ্ঞাপ্তিতে এ কথা  জানানো হয়। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে

বিএনপি গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে। পুলিশের  সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সমাবেশ থেকে ২৯ অক্টোবর

হরতাল ডাকে দলটি। পরবর্তীতে একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

আলাদা কর্মসূচি দিয়ে  সঙ্গে যোগ দেয় জামায়াত। বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকা কয়েকটি দলও একই কর্মসূচি দেয়। অবরোধ

কর্মসূচির শুরুর পর থেকে  ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ সারা দেশের বিভিন্ন সড়কে বাস, ট্রাক, অটোরিকশায় আগুন

এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজধানীতে ৬৪টি

যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। নাশকতার সময় হাতেনাতে ১২

জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করার পর ২০১৫ সালে নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিতে টানা তিন মাস

হরতাল-অবরোধ পালন করে বিএনপি-জাসায়াত জোট। তিন মাসের অবরোধে নাশকতায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। বহু গাড়িতে

পেট্রোল বোমা মারা হয়। ২০১৮ সালে তারা নির্বাচনে অংশ নেয়। সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের

দাবিতে আবারও আন্দোলনে নামে তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চতুর্থ দফার অবরোধের আগের ৭ বাসে আগুন

আপডেট সময় : ০৮:১১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীদের ডাকে চতুর্থ দফার অবরোধের আগের রাতে হিংসার আগুনে পুড়লো

৭ বাস। সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রবিবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা

পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো। শনিবার রাতে ঢাকায় সাতটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

এদিন দিনের  বেলা আশুলিয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেওয়ার খবর  পাওয়া গেছে। রাত ৮টা থেকে বিভিন্ন এলাকায়

৬টি বাসে আগুন দেওয়ার হয়। বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ শুরুর আগে ও চলার সময় চোরাগোপ্তা হামলাকারীদের ধরতে

ঢাকার গণপরিবহনগুলোতে যাত্রী বেশে  গোয়েন্দা সদস্যরা অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান হারুন-অর-রশীদ।

ঢাকায় বসানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোতেও  সার্বক্ষণিক নজর রাখবেন গোয়েন্দারা। ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ প্রত্যাখ্যান করে সারাদেশে

বাস-মিনিবাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন চালু  রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। শনিবার ঢাকা সড়ক

পরিবহন মালিক সমিতির বিজ্ঞাপ্তিতে এ কথা  জানানো হয়। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে

বিএনপি গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে। পুলিশের  সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সমাবেশ থেকে ২৯ অক্টোবর

হরতাল ডাকে দলটি। পরবর্তীতে একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

আলাদা কর্মসূচি দিয়ে  সঙ্গে যোগ দেয় জামায়াত। বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকা কয়েকটি দলও একই কর্মসূচি দেয়। অবরোধ

কর্মসূচির শুরুর পর থেকে  ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ সারা দেশের বিভিন্ন সড়কে বাস, ট্রাক, অটোরিকশায় আগুন

এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজধানীতে ৬৪টি

যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। নাশকতার সময় হাতেনাতে ১২

জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করার পর ২০১৫ সালে নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিতে টানা তিন মাস

হরতাল-অবরোধ পালন করে বিএনপি-জাসায়াত জোট। তিন মাসের অবরোধে নাশকতায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। বহু গাড়িতে

পেট্রোল বোমা মারা হয়। ২০১৮ সালে তারা নির্বাচনে অংশ নেয়। সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের

দাবিতে আবারও আন্দোলনে নামে তারা।