ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধ জাহাজ

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১ ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার মজুত রাখা হয়’

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধজাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো। ঘুর্ণিঝড়পরবর্তী জরুরি উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তিন স্তরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন।

এই পরিকল্পনা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নদীপথ, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র এলাকার চট্টগ্রাম, মংলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সেন্টমার্টিন্সে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় নৌবাহিনীর ১৮টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়।

নৌবাহিনী জাহাজ সমুদ্র অভিযান, সমুদ্র জয়, সাগর, স্বাধীনতা, প্রত্যয়, নির্মূল, শাপলা, নির্ভয়, অপরাজেয়, অদম্য, গোমতী, হাতিয়া, স্বন্দীপ, শাহপরান, শাহমকদুম, এলসিটি-১০৫, এলসিভিপি-০১১ ও এলসিভিপি-০১৩ জাহাজের পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং হেলিকপ্টার সমুদ্র এলাকায় উদ্ধার অভিযান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য সার্বিক প্র¯ুÍতি গ্রহণ করেছে।

দেশের উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মোতায়নকৃত সকল কন্টিনজেন্ট জনস্বার্থে বিভিন্ন সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করছে। তাছাড়া বিপদসংকুল এলাকাসমূহ থেকে স্থানীয়জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়েনিতে স্থানীয়প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে অংশ নিতে প্রস্তুত।

এছাড়া নৌবাহিনীরনিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত ত্রাণ প্রস্তুত রাখাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ত্রাণ সংকুলানের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হয়েছে। জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য নৌবাহিনীর মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করা হয়েছে।

পাশাপাশি ভাসানচরে বসবাসরত  মায়ানমার নাগরিকদেরকে ভাসানচরেই পূর্ব নির্ধারিতঘূর্ণি ঝড় নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তরের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং ভাসানচরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী, লাইফ জ্যাকেট ও একমাসের শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদর দপ্তর ও সকল আঞ্চলিক কমান্ড কর্তৃক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি সার্বক্ষণিক নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধ জাহাজ

আপডেট সময় : ০৮:০৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

‘জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার মজুত রাখা হয়’

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধজাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো। ঘুর্ণিঝড়পরবর্তী জরুরি উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তিন স্তরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন।

এই পরিকল্পনা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নদীপথ, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র এলাকার চট্টগ্রাম, মংলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সেন্টমার্টিন্সে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় নৌবাহিনীর ১৮টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়।

নৌবাহিনী জাহাজ সমুদ্র অভিযান, সমুদ্র জয়, সাগর, স্বাধীনতা, প্রত্যয়, নির্মূল, শাপলা, নির্ভয়, অপরাজেয়, অদম্য, গোমতী, হাতিয়া, স্বন্দীপ, শাহপরান, শাহমকদুম, এলসিটি-১০৫, এলসিভিপি-০১১ ও এলসিভিপি-০১৩ জাহাজের পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং হেলিকপ্টার সমুদ্র এলাকায় উদ্ধার অভিযান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য সার্বিক প্র¯ুÍতি গ্রহণ করেছে।

দেশের উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মোতায়নকৃত সকল কন্টিনজেন্ট জনস্বার্থে বিভিন্ন সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করছে। তাছাড়া বিপদসংকুল এলাকাসমূহ থেকে স্থানীয়জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়েনিতে স্থানীয়প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে অংশ নিতে প্রস্তুত।

এছাড়া নৌবাহিনীরনিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত ত্রাণ প্রস্তুত রাখাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ত্রাণ সংকুলানের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হয়েছে। জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য নৌবাহিনীর মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করা হয়েছে।

পাশাপাশি ভাসানচরে বসবাসরত  মায়ানমার নাগরিকদেরকে ভাসানচরেই পূর্ব নির্ধারিতঘূর্ণি ঝড় নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তরের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং ভাসানচরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী, লাইফ জ্যাকেট ও একমাসের শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদর দপ্তর ও সকল আঞ্চলিক কমান্ড কর্তৃক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি সার্বক্ষণিক নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন।