গোয়েন্দা জালে জুয়ার রানী অনামিকা, পাচার ১২০০ কোটি টাকা

- আপডেট সময় : ০৮:২৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১ ১৭৫ বার পড়া হয়েছে
নিষিদ্ধ লাইভ ভিডিও ও চ্যাট অ্যাপ ‘স্ট্রিমকার’ ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট। আইন প্রযােগককারী সংস্থাটি জানিয়েছে, আটককৃতরা প্রতারণার মাধ্যমেই বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন এবং তা বিদেশে পাচারও করেন।
অনলাইন জুয়ার রানী অনামিকা সরকার রাজধানীর বনশ্রীতে একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। এখান থেকেই এ অনলাইন জুয়া পরিচালনা করে আসছিলেন। নাটোরের মেয়ে অনামিকা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পড়ালেখা করেছেন।
সেসময় স্ট্রিমকারে জুয়া পরিচালনার পান্ডা রোকন উদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে তার পরিচয়। দেড় বছরে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন অনলাইন ব্যাংকিং ও ব্যাংক হিসাবে কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন মিলেছে। রোকনকে আটকে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা।
গ্রেপ্তার চার সদস্য এবং তাদের পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে সাভার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। চক্রটি এক বছরে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে ।
নিষিদ্ধ অ্যাপ ‘স্ট্রিমকার’ লাইভ ভিডিও ও চ্যাট অ্যাপে সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে আড্ডার লোভ দেখিয়ে লোকজনকে টেনে নিয়ে অনলাইন জুয়ার ফাঁদে ফেলা হতো।
অনলাইনে এ কার্যক্রম পরিচালনায় বিন্স ও জেমস নামের দুটি ‘ডিজিটাল মুদ্রা’ ব্যবহার করা হতো। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে গ্রেপ্তার অভিযানে নামে গোয়েন্দা সংস্থাটি। তারা আটক করে জমির উদ্দিন, কামরুল হোসেন ওরফে রুবেল, মনজুরুল ইসলাম হৃদয় ও অনামিকা সরকারকে।
পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) বলছে, তারা এই অভিযানটি চালান ঢাকার বনশ্রী, সাভার এবং নোয়াখালীর সুধারামপুর এলাকায়।
বুধবার রাজধানীর বারিধারায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এসব তথ্য জানান, পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্ট্রিমকার ব্যবহার করে মুদ্রা পাচার করে আসছিলেন।
অ্যাপটিতে গ্রুপ চ্যাট, লিপ সিং, ড্যান্স, গল্প ও কবিতা আবৃত্তিসহ নানা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে সেখানে জুয়া খেলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। পুলিশ সুপার আসলাম খান বলেন, বাংলাদেশে স্ট্রিমকার অ্যাপটি নিষিদ্ধ।
টাকার মান নির্ণয় সম্পর্কে জানানো হয়, বিন্স হোস্টদের কাছে গেলে তা জেমস নামের ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা হয়ে যায়। সঞ্চিত জেমসের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে হোস্টদের আয়। এক লাখ বিন্স কিনতে ব্যবহারকারীদের দিতে হয় ১ হাজার ৮০ টাকা।