ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুলিস্তানে পাগল নাচলেও বিএনপির সমাবেশের চেয়ে বেশি লোক হয় : তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৯৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সরকারের ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের নিন্দা ও প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তথ্যমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গুলিস্তানে পাগল নাচলেও বিএনপির সমাবেশের চেয়ে বেশি লোক জড়ো হয়। সোমবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে কয়েকশ লোকের সমাবেশ করে বিএনপি বলে বিশাল সমাবেশ করেছে। দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরে কয়েকশ মানুষের সমাবেশ যদি বিশাল সমাবেশ হয়, তাহলে বুঝতে হবে, বিএনপির পৃথিবীটা ছোট হয়ে আসছে এবং তারা জনগণ থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতাদের বক্তব্যে মনে হয়, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যেমন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে দেশের শত্রুরা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছিল, তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বলেই তাদের বক্তব্যে বোঝা যায়।

বিএনপির সাম্প্রতিক মন্তব্য হঠাৎ করেই সরকার পতনের খবর পাওয়া যাবে উদ্ধৃত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ কথার দুই ধরনের ব্যাখ্যা হয়। একটি হচ্ছে, তারা ভেতরে ভেতরে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, আমাদের সরকারের বিরুদ্ধেও ক্রমাগত ১২ বছর ধরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আরেকটি হচ্ছে, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন দৈব-দুর্বিপাকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আল জাজিরার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনকেও এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের অসত্য বানোয়াট রিপোর্ট এই দেশ ও বিশ্বের মানুষ গ্রহণ করেনি এবং আল জাজিরা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে।

শুরু থেকে করোনা টিকার বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী বিএনপির নেতাদের করোনা টিকা নেওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই তারা টিকা নিয়ে সুস্থ থাকুন। কারণ আমাদের একটি শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া দেশে একটি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু এক মাসের একটু বেশি সময়ের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ আন্দোলন ও নির্বাচনের মাধ্যমে জবাব দিয়ে তাদের ক্ষমতা থেকে বিদায় দিয়েছিল।

এর পরপরই নির্বাচনে ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে আন্দোলন সংগ্রামকারী আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৭৫৭ সালের যে ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ১৯৪৯ সালের যে ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল, ১৯৯৬ সালেরও সেই ২৩ জুন ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ দেশে সরকার গঠন করে দেশে অগ্রযাত্রার সূচনা করেছিল।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গুলিস্তানে পাগল নাচলেও বিএনপির সমাবেশের চেয়ে বেশি লোক হয় : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:১৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সরকারের ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের নিন্দা ও প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তথ্যমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গুলিস্তানে পাগল নাচলেও বিএনপির সমাবেশের চেয়ে বেশি লোক জড়ো হয়। সোমবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে কয়েকশ লোকের সমাবেশ করে বিএনপি বলে বিশাল সমাবেশ করেছে। দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরে কয়েকশ মানুষের সমাবেশ যদি বিশাল সমাবেশ হয়, তাহলে বুঝতে হবে, বিএনপির পৃথিবীটা ছোট হয়ে আসছে এবং তারা জনগণ থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতাদের বক্তব্যে মনে হয়, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যেমন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে দেশের শত্রুরা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছিল, তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বলেই তাদের বক্তব্যে বোঝা যায়।

বিএনপির সাম্প্রতিক মন্তব্য হঠাৎ করেই সরকার পতনের খবর পাওয়া যাবে উদ্ধৃত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ কথার দুই ধরনের ব্যাখ্যা হয়। একটি হচ্ছে, তারা ভেতরে ভেতরে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, আমাদের সরকারের বিরুদ্ধেও ক্রমাগত ১২ বছর ধরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আরেকটি হচ্ছে, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন দৈব-দুর্বিপাকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আল জাজিরার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনকেও এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের অসত্য বানোয়াট রিপোর্ট এই দেশ ও বিশ্বের মানুষ গ্রহণ করেনি এবং আল জাজিরা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে।

শুরু থেকে করোনা টিকার বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী বিএনপির নেতাদের করোনা টিকা নেওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই তারা টিকা নিয়ে সুস্থ থাকুন। কারণ আমাদের একটি শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া দেশে একটি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু এক মাসের একটু বেশি সময়ের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ আন্দোলন ও নির্বাচনের মাধ্যমে জবাব দিয়ে তাদের ক্ষমতা থেকে বিদায় দিয়েছিল।

এর পরপরই নির্বাচনে ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে আন্দোলন সংগ্রামকারী আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৭৫৭ সালের যে ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ১৯৪৯ সালের যে ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল, ১৯৯৬ সালেরও সেই ২৩ জুন ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ দেশে সরকার গঠন করে দেশে অগ্রযাত্রার সূচনা করেছিল।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বক্তব্য দেন।