গল্পটা বাংলাদেশের : উল্টো সহযোগিতার হাত বাড়ায়
- আপডেট সময় : ০২:৩৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১ ২০৬ বার পড়া হয়েছে
অর্থনীতিতে পৃথিবীর প্রথম ৫০টি দেশের একটি হচ্ছে বাংলাদেশে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের অর্জন স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের পথে। অর্থনীতিতে পৃথিবীর প্রথম ৫০টি দেশের একটি হচ্ছে বাংলাদেশে। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলাতেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। রেসিপিয়েন্ট কান্ট্রি থেকে বাংলাদেশ এখন অনেক দেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ ছাড়া বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা, অভিবাসনসহ কয়েকটি বিষয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন’র মূল্যায়নে, সম্প্রতি বিরাট পরিবর্তন দেখতে পাই। বেশ কয়েকটি বৈশ্বিক বিষয়ে আমরা নেতৃত্ব দিচ্ছি। এই নেতৃত্ব দানের পর্যায়ে আসতে অনেক সময় লেগেছে। জাতিসংঘে অন্যতম বড় অবদান বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর।
প্রথম দিকে আফ্রিকার একটি দেশ দিয়ে শুরু। এরপর ধীরে ধীরে পেশাদারিত্ব, প্রতিশ্রুতি, প্রশিক্ষণ ও পারফরমেন্স বিবেচনায় বেশ কয়েক বছর ধরে প্রথম বা দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। তিনি বলেন, এটি আমাদের ভাবমূর্তি তৈরিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। বঙ্গবন্ধুর বিদেশনীতির যে আদর্শ-‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এটিও কাজে লেগেছে।
শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে ভালো অবস্থান তা সবাই স্বীকার করে নিয়েছে। গত ১০ বছরে পিস বিল্ডিং কমিশনের চেয়ারম্যান থেকে বিভিন্ন শান্তিরক্ষামূলক কাজে বাংলাদেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি নেতৃত্ব দানকারী দেশ বলে তিনি জানান।
শান্তি প্রতিষ্ঠার আরেকটি জায়গা হচ্ছে অস্ত্র নিরোধ (আমর্স ডিসআরমামেন্ট)। যেহেতু বাংলাদেশ একটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে, সেজন্য যুদ্ধের যে কষ্ট সেটার স্বাক্ষী আমরা। সেই হিসেবে জাতিসংঘের ডিসআরমামেন্ট বিভাগে বাংলাদেশের পদচারণা বেশ জোরালো ছিল। এক সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করতে হতো। এখন বিশ্বের কোথাও দুর্যোগ হলে বাংলাদেশই উল্টো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়।
সম্প্রতি কোভিড পরিস্থিতির সময় চীন, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশকে সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগেও নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশ সাহায্যের নজির রয়েছে।
পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, মাতারবাড়ি, পায়রা বন্দর, বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হলে সামগ্রিক একটা প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। বিদেশ সচিব বলেন, ‘শুধু পদ্মা সেতু একাই মোট দেশজ উৎপাদনে দুই শতাংশ অবদান রাখবে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। সবগুলোর অবদান অংক কষে বের করা সম্ভব। তবে এর পরিমাণ দুই শতাংশের চেয়ে বেশেই হবে।
১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কাল্পনিক কিছু নয়, এটি সম্ভব। এর জন্য মেগা প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ করতে হবে। এগুলোর কারণেই মূলত আমাদের আউটলুকে পরিবর্তন হচ্ছে। তিনি বলেন, আগে প্যারিস কনসোর্টিয়ামে যেতাম। দাতারা বলতো-এটা ওটা করেছো কিনা। এখন তা অতীত। এখন সমতার ভিত্তিতে আলোচনা হবে।