ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণপরিবহন চালুর দাবিতে বিক্ষোভের ডাক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা 

মার্কেট, দোকানপাট, শপিংমল সবই খোলা। রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির লম্বা লাইন। লরি, পণ্যট্রেনসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করলেও চলছে না, গণপরিবহন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গণপরিবহন চালু না থাকায় তাদের কাঙ্খিত বেচাবিক্রি হচ্ছে না।

অন্যদিকে লকডাউনে উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৫০ লাখ গণপরিবহন শ্রমিকের। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, সড়ক পথে প্রায় ৭৫ শতাংশ যাত্রী ও ৬৫ শতাংশ পণ্যপরিবহন হয়ে থাকে। একাজে প্রতিদিন ৫০ লাখ পরিবহণ শ্রমিক নিয়োজিত। করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে।

লকডাউনে মানুষের চলাচল, শ্রমঘন শিল্প, হাট-বাজার, কোর্ট-কাচারি সব বন্ধ থাকবে। এ অবস্থায় গণপরিবহণ বন্ধ থাকলে শ্রমিদের আপত্তি ছিল না। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে গার্মেন্টস, শপিংমল, কাঁচা বাজার, অফিস আদালত চলছে। চলছে না কেবল গণপরিবহন।

শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির দাবিও জানান তারা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চলু করা না হলে রবিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন শ্রমিক ফেডারেশন।

করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলাচলে নিষেধা রয়েছে। চাকা ঘুরছে রেলেরও। সামনেই ঈদ। কেনাকাটায় মার্কেট খোলা থাকলেও মানুষকে বিকল্প ব্যবস্থায় দুই তিনগুণ ভাড়া গুণে চলাচল করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় গণপরিবহন খুলে দেওয়া দাবি ব্যবসায়ীদের।

গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও বিকল্প যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ অনিরাপদভাবে চলাচল করছে। এতে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গণপরিবহন চালুর দাবিতে বিক্ষোভের ডাক

আপডেট সময় : ০৭:২২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা 

মার্কেট, দোকানপাট, শপিংমল সবই খোলা। রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির লম্বা লাইন। লরি, পণ্যট্রেনসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করলেও চলছে না, গণপরিবহন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গণপরিবহন চালু না থাকায় তাদের কাঙ্খিত বেচাবিক্রি হচ্ছে না।

অন্যদিকে লকডাউনে উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৫০ লাখ গণপরিবহন শ্রমিকের। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, সড়ক পথে প্রায় ৭৫ শতাংশ যাত্রী ও ৬৫ শতাংশ পণ্যপরিবহন হয়ে থাকে। একাজে প্রতিদিন ৫০ লাখ পরিবহণ শ্রমিক নিয়োজিত। করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে।

লকডাউনে মানুষের চলাচল, শ্রমঘন শিল্প, হাট-বাজার, কোর্ট-কাচারি সব বন্ধ থাকবে। এ অবস্থায় গণপরিবহণ বন্ধ থাকলে শ্রমিদের আপত্তি ছিল না। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে গার্মেন্টস, শপিংমল, কাঁচা বাজার, অফিস আদালত চলছে। চলছে না কেবল গণপরিবহন।

শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির দাবিও জানান তারা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চলু করা না হলে রবিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন শ্রমিক ফেডারেশন।

করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলাচলে নিষেধা রয়েছে। চাকা ঘুরছে রেলেরও। সামনেই ঈদ। কেনাকাটায় মার্কেট খোলা থাকলেও মানুষকে বিকল্প ব্যবস্থায় দুই তিনগুণ ভাড়া গুণে চলাচল করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় গণপরিবহন খুলে দেওয়া দাবি ব্যবসায়ীদের।

গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও বিকল্প যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ অনিরাপদভাবে চলাচল করছে। এতে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।