ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪ ২২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পাবর্ত অঞ্চল খাগড়াছড়িতে আবুল হাসনাত মুহম্মদ সোহেল রানা নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার করেছে পাহাড়িরা। ঘটনার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর বাঙালি-পাহাড়ি ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও সদরে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে দুপুরে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আবুল হাসনাত মুহম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে মারা হয়। ঘটনার পর দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

সোহেল রানা খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন।

ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজের অধ্যক্ষের রুমে ১০-১৫ জন পাহাড়ি কিশোর-যুবক শিক্ষক সোহেল রানাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়। ওই ছাত্রী আদালতে গিয়ে পাহাড়ি একটি সংগঠনের চাপে মামলা করেছে মর্মে সাক্ষ্য দিলে সোহেল রানা খালাস পান এবং চাকরিতে পুনরায় যোগ দেন। সোহেল রানা চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে পাহাড়ি ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির নানা অভিযোগ এনে প্রত্যাহার দাবি করে আসছিল।

মঙ্গলবার আরেক শিক্ষার্থীকে জড়িয়ে গুজব ছড়িয়ে একদল শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ করতে থাকে। দুপুরে সোহেল রানাকে অধ্যক্ষের রুমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান।

সোহেল রানাকে পিটিয়ে মারার খবর জানাজানি হলে এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কায় জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়ি জেলা সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ইউএনও সুজন চন্দ্র রায় বলেন, ঘটনা সামাল দিতে গিয়ে আমি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন মাঠে রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, ঘটনায় যারাই জড়িত; তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

 

পাবর্ত অঞ্চল খাগড়াছড়িতে আবুল হাসনাত মুহম্মদ সোহেল রানা নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার করেছে পাহাড়িরা। ঘটনার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর বাঙালি-পাহাড়ি ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও সদরে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে দুপুরে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আবুল হাসনাত মুহম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে মারা হয়। ঘটনার পর দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

সোহেল রানা খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন।

ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজের অধ্যক্ষের রুমে ১০-১৫ জন পাহাড়ি কিশোর-যুবক শিক্ষক সোহেল রানাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়। ওই ছাত্রী আদালতে গিয়ে পাহাড়ি একটি সংগঠনের চাপে মামলা করেছে মর্মে সাক্ষ্য দিলে সোহেল রানা খালাস পান এবং চাকরিতে পুনরায় যোগ দেন। সোহেল রানা চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে পাহাড়ি ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির নানা অভিযোগ এনে প্রত্যাহার দাবি করে আসছিল।

মঙ্গলবার আরেক শিক্ষার্থীকে জড়িয়ে গুজব ছড়িয়ে একদল শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ করতে থাকে। দুপুরে সোহেল রানাকে অধ্যক্ষের রুমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান।

সোহেল রানাকে পিটিয়ে মারার খবর জানাজানি হলে এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কায় জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়ি জেলা সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ইউএনও সুজন চন্দ্র রায় বলেন, ঘটনা সামাল দিতে গিয়ে আমি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন মাঠে রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, ঘটনায় যারাই জড়িত; তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।