কৌশলে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরিতে চীন, সতর্কতায় যুক্তরাষ্ট্র
- আপডেট সময় : ০৩:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৪৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
গত মাসে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই গ্যাং চেন নামে একজন প্রখ্যাত এমআইটি ন্যানো টেকনোলজিস্টকে গ্রেফতার করেছে। চীনা-বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সুবিধাভুক্ত এই ব্যক্তিকে চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত স্থাপনায় তার ঘনিষ্ঠ এবং লাভজনক সংযোগ গোপন করার অভিযোগে অভিযুক্ত।
গ্যাং চেনই শুধু নন, আরও অনেক চীনা আছেন যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং তাদের চীনা গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। আর এই অভিযোগে অর্ধডজন লোককে গত বছর গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রধান চারলেস লিবারকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছে এফবিআই। তিনিও চীনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা গোপন করেছেন।
এসব ঘটনা চীনের চুরি সম্পর্কে আমেরিকানদের ক্রমবর্ধমান সতর্কতার ছবি তুলে ধরেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে এশিয়ার প্রভাবশালী সামরিক শক্তি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রভাবকে দমন করতে চীনের প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ট্রাম্প আমলে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরি, ভিসা জালিয়াতি, সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি, অবৈধ কার্যক্রমের অপরাধে শত শত তদন্ত এবং দেশব্যাপী কয়েক ডজন গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ।
মার্কিন বিচার বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এসব অপারেশনের মাধ্যমে চীনের বিভিন্ন রকমের প্রয়াস উন্মোচিত হয়েছে। গত বছরের জুলাইতে এফবিআই গ্র্যাজুয়েট স্কুল গবেষক হিসাবে ছদ্ম নেওয়া চার চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছিল। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, তারা আসলে চীনা সেনা। চারজনকে গ্রেফতারের পর অন্তত ১ হাজার চীনা গবেষক যুক্তরাষ্ট্র থেকে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যান।
এদিকে বহু শিক্ষাবিদ এবং চীনা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চীনা বংশোদ্ভূতদের পিছনে অর্থায়ন যুক্তরাষ্ট্রের উপকারে আসে। এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ৮০ শতাংশ চীনা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করছেন। তবে গত বছর ট্রাম্প প্রশাসন চীনা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এক প্রকার ব্যবস্থা নেয়। চীনা সেনার সঙ্গে সম্পৃক্তরা আছে এমন শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র।