ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোয়াডে যুক্ত হলে বাংলাদেশ-বেইজিং সম্পর্ক নষ্ট হবে

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১ ১৯৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চীন মনে করে কৌশলগত জোট ‘কোয়াড’ চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী। এতে বাংলাদেশের যোগদান ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে যথেষ্ট খারাপ করবে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত কোয়াড। মূলত চীনকে ঠেকানোরই উদ্যোগ। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ চলাচল অবাধ ও স্বাধীন রাখার উপায় খোঁজার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে ‘কোয়াড’ (কোয়াড্রল্যাটারাল সিকিওরিটি ডায়ালগ) সংলাপের সূচনা হয়।

সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং একথা বলেন। ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ‘কোয়াডে’ বাংলাদেশ যুক্ত হলে বাংলাদেশ ও চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যথেষ্ট নষ্ট হবে। তাই এতে বাংলাদেশের অংশ নেওয়া ঠিক হবে না। রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়ে ওঠছে না।

বাংলাদেশের তরফেও যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত পরিস্থিতি উন্নতির এবং প্রত্যাবাসনে দ্রুত কোনো ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের কোনো লক্ষণও দেখতে পাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে না। তিস্তা রিভার কম্প্রিহেন্সিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশেন প্রজেক্ট প্রসঙ্গে লি জিমিং বলেন, এ বিষয়ে ঋণ প্রস্তাব নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিজ পেলে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে।

তবে তিস্তা নিয়ে যে কোনো প্রকল্প করা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার। এপ্রিল মাসের শেষ প্রান্তে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি ঢাকা সফর করেন। এ সময় কোয়াড, আইপিএস বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশের চীন সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিলো। বেইজিংয়ের অনুরোধের জবাবে বাংলাদেশ কী বলেছে জানতে চাইলে জবাব এড়িয়ে যান চীনা রাষ্ট্রদূত।

লি জিমিং বলেন, চীন সব সময় মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কোয়াড হচ্ছে চীনবিরোধী একটি ছোট গ্রুপ। আগামী ১২ মে চীনের উপহারের ৫ লাখ টিকা পৌছানোর কথা জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, জি টু জি কিংবা বাণিজ্যকভাবে চীন ও বাংলাদেশে টিকা দিতে প্রস্তুত।

কিন্তু এর জন্য লম্বা লাইন রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ টিকার অর্ডার দিয়ে বসে আছে। এ কারণে জটিলতা তৈরি হয়েছে। চীনা টিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশ সময় নিয়েছে তিন মাস। ফলে এখন দ্রুত টিকা পাওয়ার সিরিয়ালে সামনে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিপলোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিকাব) প্রেসিডেন্ট পান্থ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কোয়াডে যুক্ত হলে বাংলাদেশ-বেইজিং সম্পর্ক নষ্ট হবে

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১

চীন মনে করে কৌশলগত জোট ‘কোয়াড’ চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী। এতে বাংলাদেশের যোগদান ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে যথেষ্ট খারাপ করবে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত কোয়াড। মূলত চীনকে ঠেকানোরই উদ্যোগ। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ চলাচল অবাধ ও স্বাধীন রাখার উপায় খোঁজার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে ‘কোয়াড’ (কোয়াড্রল্যাটারাল সিকিওরিটি ডায়ালগ) সংলাপের সূচনা হয়।

সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং একথা বলেন। ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ‘কোয়াডে’ বাংলাদেশ যুক্ত হলে বাংলাদেশ ও চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যথেষ্ট নষ্ট হবে। তাই এতে বাংলাদেশের অংশ নেওয়া ঠিক হবে না। রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়ে ওঠছে না।

বাংলাদেশের তরফেও যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত পরিস্থিতি উন্নতির এবং প্রত্যাবাসনে দ্রুত কোনো ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের কোনো লক্ষণও দেখতে পাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে না। তিস্তা রিভার কম্প্রিহেন্সিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশেন প্রজেক্ট প্রসঙ্গে লি জিমিং বলেন, এ বিষয়ে ঋণ প্রস্তাব নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিজ পেলে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে।

তবে তিস্তা নিয়ে যে কোনো প্রকল্প করা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার। এপ্রিল মাসের শেষ প্রান্তে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি ঢাকা সফর করেন। এ সময় কোয়াড, আইপিএস বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশের চীন সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিলো। বেইজিংয়ের অনুরোধের জবাবে বাংলাদেশ কী বলেছে জানতে চাইলে জবাব এড়িয়ে যান চীনা রাষ্ট্রদূত।

লি জিমিং বলেন, চীন সব সময় মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কোয়াড হচ্ছে চীনবিরোধী একটি ছোট গ্রুপ। আগামী ১২ মে চীনের উপহারের ৫ লাখ টিকা পৌছানোর কথা জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, জি টু জি কিংবা বাণিজ্যকভাবে চীন ও বাংলাদেশে টিকা দিতে প্রস্তুত।

কিন্তু এর জন্য লম্বা লাইন রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ টিকার অর্ডার দিয়ে বসে আছে। এ কারণে জটিলতা তৈরি হয়েছে। চীনা টিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশ সময় নিয়েছে তিন মাস। ফলে এখন দ্রুত টিকা পাওয়ার সিরিয়ালে সামনে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিপলোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিকাব) প্রেসিডেন্ট পান্থ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন।