ঢাকা ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোভ্যাক্সের টিকার প্রথম চালান বাংলাদেশে

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ১২:২৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১ ২৩৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের কেভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা বাংলাদেশে পৌঁছেছে। এটাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে গৃহীত বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট-এর মাধ্যমে এই টিকার চালানটি বাংলাদেশে এসেছে। সোমবার মধ্যরাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটটি টিকার চালান নিয়ে অবতরণ করে।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ন্যায্যতার সঙ্গে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎদাতা দেশ হিসেবে ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক জোট গাভিকে প্রতিশ্রুত ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার অংশ হিসেবে সম্প্রতি ২ বিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। যা দিয়ে গাভি কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ন্যায্যতার সঙ্গে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে।

বাংলাদেশে কোভ্যাক্স থেকে টিকা পৌছানোর বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার বলেন, কভিড-১৯ মহামারি এই বার্তাই দিয়েছে যে বৈশ্বিক মহামারির বিরুদ্ধে কোন একটি দেশ একা কাজ করতে পারে না। আর সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক অংশীদারগণ এই মহামারি মোকাবেলায় একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে। আমরা এই অভূতপূর্ব বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কটসহ ভবিষ্যতের সঙ্কটগুলো মোকাবেলায় আরো বেশি সংগঠিত ও সহনশীল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-এর মাধ্যমে কোভ্যাক্সকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান নিরাপদ ও কার্যকর কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয় এবং সেই ভ্যাকসিন বিশ্বের ৯২টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অরক্ষিত মানুষের কাছে টিকা পৌঁছাতে সহায়তা করবে।

এই সহায়তা বর্তমান মহামারি নিয়ন্ত্রণ, (পরিবর্তনশীল করোনা ভাইরাসের) নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি শ্লথ করে দেয়া এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে মিলার বলেন, কভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারি কার্যক্রমকে জোরদার করতে এখন পর্যন্ত ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর (ডিওডি) ও যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এর মাধ্যমে ৭৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে।

এই সহায়তা কভিড-১৯ এ আক্রান্ত বাংলাদেশিদের চিকিৎসা দিতে ও জীবন বাঁচাতে, পরীক্ষার সামর্থ্য জোরদার করা ও নজরদারি বাড়তে, কভিড-১৯ এর ঘটনা মোকাবেলা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক চর্চাগুলো বাড়াতে, সরবরাহ ব্যবস্থা ও উপকরণ ব্যবস্থাপনা বাড়াতে, রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের জ্ঞান বৃদ্ধি, চিকিৎসা পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ এবং কার্যকর টিকাদান কর্মসূচির প্রচারাভিযানে ভূমিকা রেখেছে।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র কভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আমেরিকাতে তৈরি ১০০টি সর্বাধুনিক ভেন্টিলেটর ও গ্যাস অ্যানালাইজার উপহার দিয়েছে। যা বাংলাদেশকে নিজস্ব ভেন্টিলেটর তৈরিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশব্যাপী সম্মুখসারিতে কর্মরত ব্যক্তিদের মাঝে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত কয়েক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) বিতরণ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কোভ্যাক্সের টিকার প্রথম চালান বাংলাদেশে

আপডেট সময় : ১২:২৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১

স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের কেভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা বাংলাদেশে পৌঁছেছে। এটাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে গৃহীত বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট-এর মাধ্যমে এই টিকার চালানটি বাংলাদেশে এসেছে। সোমবার মধ্যরাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটটি টিকার চালান নিয়ে অবতরণ করে।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ন্যায্যতার সঙ্গে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎদাতা দেশ হিসেবে ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক জোট গাভিকে প্রতিশ্রুত ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার অংশ হিসেবে সম্প্রতি ২ বিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। যা দিয়ে গাভি কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ন্যায্যতার সঙ্গে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে।

বাংলাদেশে কোভ্যাক্স থেকে টিকা পৌছানোর বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার বলেন, কভিড-১৯ মহামারি এই বার্তাই দিয়েছে যে বৈশ্বিক মহামারির বিরুদ্ধে কোন একটি দেশ একা কাজ করতে পারে না। আর সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক অংশীদারগণ এই মহামারি মোকাবেলায় একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে। আমরা এই অভূতপূর্ব বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কটসহ ভবিষ্যতের সঙ্কটগুলো মোকাবেলায় আরো বেশি সংগঠিত ও সহনশীল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-এর মাধ্যমে কোভ্যাক্সকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান নিরাপদ ও কার্যকর কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয় এবং সেই ভ্যাকসিন বিশ্বের ৯২টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অরক্ষিত মানুষের কাছে টিকা পৌঁছাতে সহায়তা করবে।

এই সহায়তা বর্তমান মহামারি নিয়ন্ত্রণ, (পরিবর্তনশীল করোনা ভাইরাসের) নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি শ্লথ করে দেয়া এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে মিলার বলেন, কভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারি কার্যক্রমকে জোরদার করতে এখন পর্যন্ত ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর (ডিওডি) ও যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এর মাধ্যমে ৭৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে।

এই সহায়তা কভিড-১৯ এ আক্রান্ত বাংলাদেশিদের চিকিৎসা দিতে ও জীবন বাঁচাতে, পরীক্ষার সামর্থ্য জোরদার করা ও নজরদারি বাড়তে, কভিড-১৯ এর ঘটনা মোকাবেলা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক চর্চাগুলো বাড়াতে, সরবরাহ ব্যবস্থা ও উপকরণ ব্যবস্থাপনা বাড়াতে, রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের জ্ঞান বৃদ্ধি, চিকিৎসা পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ এবং কার্যকর টিকাদান কর্মসূচির প্রচারাভিযানে ভূমিকা রেখেছে।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র কভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আমেরিকাতে তৈরি ১০০টি সর্বাধুনিক ভেন্টিলেটর ও গ্যাস অ্যানালাইজার উপহার দিয়েছে। যা বাংলাদেশকে নিজস্ব ভেন্টিলেটর তৈরিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশব্যাপী সম্মুখসারিতে কর্মরত ব্যক্তিদের মাঝে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত কয়েক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) বিতরণ করেছে।