ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোভিড-১৯ রুখতে জনসনের এক ডোজ টিকা যথেষ্ট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৬২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

করোনা ভাইরাস অর্থাৎ কোভিড-১৯ রুখতে নতুন নতুন ভ্যাকসিনের খবর পৃধিবীর মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। এরই বিভিন্ন দেশে করোনা ভ্যাক্সিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ৪০ লাখের বেশি মানুষ ভ্যাক্সিন গ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন। যার মধ্যে প্রায় ৩০ লাখের কাছাকাছি মানুষ ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আগামী ৭ মার্চ থেকে দ্বিতীয় ডোজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
এ অবস্থায় সুখবরটি এলো।

খবরটি হচ্ছে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকা সর্বোচ্চ কার্যকর ও নিরাপদ। এটির সাফল্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ব্যাপক রোগীভিত্তিক পরীক্ষায় তীব্র কোভিড রোগের বিপরীতে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার যুক্তরাষ্ট্রে ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৮১ দশমিক ৭ শতাংশ ও ব্রাজিলে ৮৭ শতাংশ ৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে। এই টিকা সুসহনীয়, মারাত্মক অ্যালার্জির ক্ষেত্রে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। বুধবার মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এমন তথ্য দিয়েছে।

বিশ্বসংবাদ সংস্থা এই খবর দিয়ে বলেছে, কম খরচের এই ফাইজার বা মডার্নার মতো ফ্রিজারে খুব কম তাপমাত্রায় রাখার দরকার হয় না। সাধারণ ফ্রিজে রাখলেই হয়। আর কয়েক দিনের মধ্যেই আমেরিকায় সম্ভবত জনসনের তৈরি ভ্যাকসিন চালু হয়ে যাবে। মার্কিন রেগুলেটরদের মতে, এই ভ্যাকসিন এক ডোজই করোনা প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট।

জনসন অ্যান্ড জনসনের দাবি, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাদের ভ্যাকসিন খুব খারাপ ধরনের স্ট্রেইনের মোকাবিলাও করতে পারে। নতুন স্ট্রেইনগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের সাফল্যের হার ৮৫ শতাংশ। তবে সাধারণ করোনা ঠেকাবার ক্ষেত্রে সাফল্যের হার ৬৬ শতাংশ।

২৮ দিন ধরে চলা পরীক্ষায় এই ভ্যাকসিনের বিশেষ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কাউকে হাসপাতালে নিতে হয়নি। এই অবস্থায় শুক্রবার বিশেষজ্ঞরা বৈঠক করে ঠিক করবেন, আমেরিকায় জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন চালুর অনুমতি দেওয়া হবে কি না।

হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনুমোদন পেয়ে গেলে আগামী সপ্তাহে জনসনের ৩০ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মার্চের মধ্যে ২ কোটি ডোজ তৈরি হয়ে যাবে। আর আমেরিকার সঙ্গে আগাম চুক্তি অনুসারে জুনের মধ্যে ১০ কোটি ডোজ সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কোভিড-১৯ রুখতে জনসনের এক ডোজ টিকা যথেষ্ট

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

করোনা ভাইরাস অর্থাৎ কোভিড-১৯ রুখতে নতুন নতুন ভ্যাকসিনের খবর পৃধিবীর মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। এরই বিভিন্ন দেশে করোনা ভ্যাক্সিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ৪০ লাখের বেশি মানুষ ভ্যাক্সিন গ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন। যার মধ্যে প্রায় ৩০ লাখের কাছাকাছি মানুষ ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আগামী ৭ মার্চ থেকে দ্বিতীয় ডোজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
এ অবস্থায় সুখবরটি এলো।

খবরটি হচ্ছে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকা সর্বোচ্চ কার্যকর ও নিরাপদ। এটির সাফল্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ব্যাপক রোগীভিত্তিক পরীক্ষায় তীব্র কোভিড রোগের বিপরীতে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার যুক্তরাষ্ট্রে ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৮১ দশমিক ৭ শতাংশ ও ব্রাজিলে ৮৭ শতাংশ ৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে। এই টিকা সুসহনীয়, মারাত্মক অ্যালার্জির ক্ষেত্রে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। বুধবার মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এমন তথ্য দিয়েছে।

বিশ্বসংবাদ সংস্থা এই খবর দিয়ে বলেছে, কম খরচের এই ফাইজার বা মডার্নার মতো ফ্রিজারে খুব কম তাপমাত্রায় রাখার দরকার হয় না। সাধারণ ফ্রিজে রাখলেই হয়। আর কয়েক দিনের মধ্যেই আমেরিকায় সম্ভবত জনসনের তৈরি ভ্যাকসিন চালু হয়ে যাবে। মার্কিন রেগুলেটরদের মতে, এই ভ্যাকসিন এক ডোজই করোনা প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট।

জনসন অ্যান্ড জনসনের দাবি, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাদের ভ্যাকসিন খুব খারাপ ধরনের স্ট্রেইনের মোকাবিলাও করতে পারে। নতুন স্ট্রেইনগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের সাফল্যের হার ৮৫ শতাংশ। তবে সাধারণ করোনা ঠেকাবার ক্ষেত্রে সাফল্যের হার ৬৬ শতাংশ।

২৮ দিন ধরে চলা পরীক্ষায় এই ভ্যাকসিনের বিশেষ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কাউকে হাসপাতালে নিতে হয়নি। এই অবস্থায় শুক্রবার বিশেষজ্ঞরা বৈঠক করে ঠিক করবেন, আমেরিকায় জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন চালুর অনুমতি দেওয়া হবে কি না।

হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনুমোদন পেয়ে গেলে আগামী সপ্তাহে জনসনের ৩০ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মার্চের মধ্যে ২ কোটি ডোজ তৈরি হয়ে যাবে। আর আমেরিকার সঙ্গে আগাম চুক্তি অনুসারে জুনের মধ্যে ১০ কোটি ডোজ সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছেন তারা।