ঢাকা ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেরানীগঞ্জে তিনতলা ভবন ভেঙ্গে পড়ল ডোবায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪২:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৬০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস রিপোর্ট

বুড়িগঙ্গা নদীটি আলাদা সীমান্ত এঁকে দিয়েছে রাজধানী ঢাকা আর কেরাণীগঞ্জকে। তবে, মেট্রোপলিটানের অংশ না হলেও ঢাকা জেলার অংশ কেরাণীগঞ্জ নানা কারণে পরিচিতি। এই কেরাণীগঞ্জেরই একটি গ্রামের নাম পূর্বচরাইল। আর এই গ্রামেই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত জুম্মাবার অর্থাৎ শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ হুড়মুড়িয়ে পাশের ডোবায় ভেঙ্গে পড়ে তিনতলা ভবনটি।

ভবন ধসে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট। চলানো হয় উদ্ধার কার্যক্রম। ফায়ার সার্ভিস সদরদফতরের এজন কর্মকর্তা লিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট উদ্ধারে কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তারা ৮জনকে উদ্ধার করেছেন। যাদের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, ভবনটির মালিকের নাম ইলোন। পাশে আরও দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান তারা। ফায়ার সার্ভিসের অফিস ইনচার্জ ফারুক আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঝিলের পানির মধ্যে কোন প্রকার পাইলিং ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে একতলা ভবন তৈরির বছর পেরুনোর পর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি তিনতলা ভবনে রূপান্তর করা হয়। ছয়টি পরিবার বসবাস করছিলেন তাতে। ভবনের নিচে ডোবা। তাতে জলও রয়েছে। সকালে ভবনটি ধসে সেই ডোবার জলেই পড়ে যায়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মাইনুল হোসেনের মতে, কেরানীগঞ্জের বেশিরভাগ ভবন রাজউকের অনুমিত না নিয়ে তৈরি করছে। আর এ কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কেরানীগঞ্জে তিনতলা ভবন ভেঙ্গে পড়ল ডোবায়

আপডেট সময় : ০৭:৪২:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভয়েস রিপোর্ট

বুড়িগঙ্গা নদীটি আলাদা সীমান্ত এঁকে দিয়েছে রাজধানী ঢাকা আর কেরাণীগঞ্জকে। তবে, মেট্রোপলিটানের অংশ না হলেও ঢাকা জেলার অংশ কেরাণীগঞ্জ নানা কারণে পরিচিতি। এই কেরাণীগঞ্জেরই একটি গ্রামের নাম পূর্বচরাইল। আর এই গ্রামেই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত জুম্মাবার অর্থাৎ শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ হুড়মুড়িয়ে পাশের ডোবায় ভেঙ্গে পড়ে তিনতলা ভবনটি।

ভবন ধসে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট। চলানো হয় উদ্ধার কার্যক্রম। ফায়ার সার্ভিস সদরদফতরের এজন কর্মকর্তা লিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট উদ্ধারে কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তারা ৮জনকে উদ্ধার করেছেন। যাদের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, ভবনটির মালিকের নাম ইলোন। পাশে আরও দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান তারা। ফায়ার সার্ভিসের অফিস ইনচার্জ ফারুক আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঝিলের পানির মধ্যে কোন প্রকার পাইলিং ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে একতলা ভবন তৈরির বছর পেরুনোর পর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি তিনতলা ভবনে রূপান্তর করা হয়। ছয়টি পরিবার বসবাস করছিলেন তাতে। ভবনের নিচে ডোবা। তাতে জলও রয়েছে। সকালে ভবনটি ধসে সেই ডোবার জলেই পড়ে যায়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মাইনুল হোসেনের মতে, কেরানীগঞ্জের বেশিরভাগ ভবন রাজউকের অনুমিত না নিয়ে তৈরি করছে। আর এ কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।