ঢাকা ০৬:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাহসী কণ্ঠ ছিলেন হেলাল হাফিজ: ড. ইউনূস ৭১’র স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহতের আহ্বান ইউনূসের বাংলাদেশের মসজিদ-মন্দির গির্জায় কোন পাহারা বসাতে হবে না ভারত থেকে ট্রেনে লপা ৪৬৮ টন আলু আমদানি দেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে ড. ইউনূস জাতীয় কবি ঘোষণার গেজেট প্রকাশের অনুমোদন পেলো ভারত বাংলাদেশের জনগণকে শত্রু বানাচ্ছে: বিজন কান্তি সরকার ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ড. ইউনূসের বৈঠক, তাৎক্ষণিক সমাধানে প্রকৃত তথ্য জানতে হবে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সাম্প্রদায়িক বিভেদকে প্রতিহত করতে হবে: প্রধান বিচারপতির হাসিনা সরকার আমলে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার!

কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠক, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩ ১১০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

আগামী মে মাসের শেষের দিকে ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মেলনের বিভিন্ন বৈঠকের সময়সূচি প্রকাশ করেছে। সূচি অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে ২২ থেকে ২৪ মে জি-২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশের লাদাখ অঞ্চলের বৃহত্তম শহর লেহকে জি-২০ যুব সম্মেলনের ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভারত এই তালিকা প্রকাশের পরপরই এক বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে পাকিস্তান।

এদিকে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক ভারত প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের কাশ্মীরে শীর্ষ সম্মেলনের কয়েকটি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের পরিকল্পনাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আখ্যায়িত করেছে। তারা জানিয়েছে, ভারত যদি তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে, তাহলে প্রয়োজনে পাকিস্তান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত জম্মু ও কাশ্মীরে তার দখলদারিত্ব জোরদার করার জন্য এই দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই।

বিবৃতিতে জি-২০ সদস্য দেশগুলোকে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন অনুযায়ী কোনো বিতর্কিত অঞ্চলে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের অধিকার কোনো একক দেশের নেই। আমরা জি-২০ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে শ্রীনগর ও লেহ শহরে বৈঠক থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও, আমরা বলছি যে ভারত যদি সত্যিই এই দুটি শহরে কোনো সম্মেলনের আয়োজন করে তবে আমরা জাতিসংঘের কাছে অভিযোগ করব।

রয়টার্স আরও বিস্তারিত জানার জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে, মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠক, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

আগামী মে মাসের শেষের দিকে ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মেলনের বিভিন্ন বৈঠকের সময়সূচি প্রকাশ করেছে। সূচি অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে ২২ থেকে ২৪ মে জি-২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশের লাদাখ অঞ্চলের বৃহত্তম শহর লেহকে জি-২০ যুব সম্মেলনের ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভারত এই তালিকা প্রকাশের পরপরই এক বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে পাকিস্তান।

এদিকে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক ভারত প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের কাশ্মীরে শীর্ষ সম্মেলনের কয়েকটি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের পরিকল্পনাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আখ্যায়িত করেছে। তারা জানিয়েছে, ভারত যদি তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে, তাহলে প্রয়োজনে পাকিস্তান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত জম্মু ও কাশ্মীরে তার দখলদারিত্ব জোরদার করার জন্য এই দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই।

বিবৃতিতে জি-২০ সদস্য দেশগুলোকে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন অনুযায়ী কোনো বিতর্কিত অঞ্চলে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের অধিকার কোনো একক দেশের নেই। আমরা জি-২০ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে শ্রীনগর ও লেহ শহরে বৈঠক থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও, আমরা বলছি যে ভারত যদি সত্যিই এই দুটি শহরে কোনো সম্মেলনের আয়োজন করে তবে আমরা জাতিসংঘের কাছে অভিযোগ করব।

রয়টার্স আরও বিস্তারিত জানার জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে, মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।