বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিভাবে কি ঘটেছে সেটা তদন্ত কমিটি তদন্ত করে দেখবে। আট কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত দুই মাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজনসেলে চিকিৎসাধীন আছেন ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন।
হাসপাতালে থাকার কারণ হিসেবে ‘ডায়াবেটিসের সমস্যা’ উল্লেখ করেছেন তিনি।রফিকুল আমিন কারাবিধি ভেঙে জুম মিটিং করেন এমন তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এর পর পরই বিষয়টি আলোচনায় আসে।
আইজি প্রিজন্স বলেন, কবে কিভাবে তিনি এমন কাজ করলেন সেটি আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তদন্ত করে নিশ্চিত করবো।সংবাদমাধ্যমের সংবাদে বলা হয়, রফিকুল আমিন কেবল কাগজে-কলমে কিংবা চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে ‘অসুস্থ’।
হাসপাতালে থেকে দিব্যি ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন তিনি। মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার করে জুম অ্যাপে নিয়মিত মিটিংও করছেন।
দু’টি মিটিংয়ের একটি করেছেন এ বছরের মে মাসে ও আরেকটি জুন মাসে। ভিডিওতে দেখা গেছে রফিকুল আমিন ডেসটিনির মতোই নতুন আরেকটি এমএলএম ব্যবসার বিষয়ে আলোচনা করছেন। ইতোমধ্যে সেই ব্যবসা শুরুও করেছেন তিনি।
ব্যবসার জন্য শিগগিরই ১ হাজার ৩০০ মার্কেটিং এজেন্ট নিয়োগের কথা বলেছেন।
জুম মিটিংয়ের রেকর্ড করা ভিডিওতে রফিকুল আমিনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি সেখানে ‘মিস্টার এ’ নামে রেজিস্ট্রি করেছেন।
তার প্রোফাইল ছবিতে ইংরেজি বর্ণের বড় হাতের ‘জ (আর)’ লেখা। ব্যবসার বিষয়ে
আলাপকালে তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে তাকে কথা বলতে শোনা গেছে। এছাড়া নতুন ব্যবসায় ধীরগতির বিষয়ে মিটিংয়ে রফিকুল আমিন বলেন, ‘কেরানীগঞ্জে (কারাগারে) যাওয়ার কারণে সেই কাজটা পিছিয়ে গেছে। ’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জেলে থেকে কোরআন-হাদিসের অনেক জ্ঞান নিয়েছি। ’ রফিকুল আমিন কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।
তবে ডায়াবেটিসের সমস্যার কথা বলে এপ্রিলে তিনি বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন। বেশ কিছুদিন ধরে পালাক্রমে তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আটজন কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।