ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলড্রপ ও ধীরগতির ইন্টারনেট: বিড়ম্বনায় মুঠোফোন গ্রাহকরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ৫৪৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বাংলাদেশে ৯০ দশকের পর ২জি টেলিকম সেবার দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার পর এ সেবার গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রযুক্তির পরিবর্তন ও চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ সেবার উপর মানুষ নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। ২০১৩ সালে ৩জি প্রযুক্তির ইন্টারনেট ও ২০১৮ সালে ৪জি ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। বর্তমানে সক্রিয় সিম রয়েছে ১৬ কোটি ৩৪ লাখ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার। অথচ সেবার মান কমেছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। ইন্টারনেটের গতি কমে দাঁড়িয়েছে ২ থেকে ৩ এমবিপিএস। অথচ চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ এমবিপিএস গতির। বর্তমানে মুঠে ফোনের কলড্রপ এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি ইদানিং নিয়মে পরিণত হচ্ছে। এতে করে গ্রাহক পর্যায়ে বিড়ম্বনা বাড়ছে। মুঠোফোন কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কি জিম্মি করে ফেলেছে? তাদের কি দেখার কেউ নেই? এমন প্রশ্ন হাজারো মুঠোফোন ব্যবহারকারীর। অথচ গ্রহকসেবাই প্রধান এটি এখন একটি স্লোগানে পরিণত হয়েছে। কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ায় গ্রাহক অসন্তোষের বিষয় প্রকাশ্যে আছড়ে পড়েছে। যেমনটি দেখা গেল শনিবার ঢাকার তোপখানা রোডের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামেন। কলড্রপ এবং নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নের দাবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসাসিয়েশন।
এসময় সংগঠনটির দাবি করে, টেলিকম নেটওয়ার্কের মানোন্নয়ন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রতিযোগিতায় আনার। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সিপিবির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সংগঠনের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, করোনার মধ্যে সবকিছুই চলে কিন্তু চলে না শুধু শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষাখাত আজ ধনীদের দখলে। উচ্চমূল্যের ডেটা ও উচ্চমূল্যের ডিভাইস দরিদ্র জনগোষ্ঠীরা কিনতে পারছে না। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক নন। তার ভাষায় টেলিটককে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না এনে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদ তরঙ্গকে কুক্ষিগত করে রেখে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ২৫ জুলাই নিয়ন্ত্রক কমিশন, অপারেটরদের শীর্ষ কর্তাব্যক্তি, বিশেষজ্ঞরা, সাংবাদিকদের নিয়ে আলোচনায় একটি বিষয় সকলেই স্বীকার করেছেন স্বল্প তরঙ্গ ব্যবহারের কারণেই নেটওয়ার্কের মান এত খারাপ হয়েছে। অপারেটরদের দাবি ৩জি বিনিয়োগের অর্থ ওঠার আগে ৪জিতে বিনিয়োগ তাদেরকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে। এছাড়া ১ হাজার কোটি টাকা ১ মেগাহার্জ তরঙ্গ কিনে বিনিয়োগ করার সামর্থ্য একটি অপারেটরের থাকলেও অন্য অপারেটরদের নেই।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আবু সালেহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বককর সিদ্দিক, কেন্দ্রীয় সদস্য আমানউল্লাহ মাহফুজ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কলড্রপ ও ধীরগতির ইন্টারনেট: বিড়ম্বনায় মুঠোফোন গ্রাহকরা

আপডেট সময় : ০৪:১৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বাংলাদেশে ৯০ দশকের পর ২জি টেলিকম সেবার দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার পর এ সেবার গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রযুক্তির পরিবর্তন ও চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ সেবার উপর মানুষ নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। ২০১৩ সালে ৩জি প্রযুক্তির ইন্টারনেট ও ২০১৮ সালে ৪জি ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। বর্তমানে সক্রিয় সিম রয়েছে ১৬ কোটি ৩৪ লাখ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার। অথচ সেবার মান কমেছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। ইন্টারনেটের গতি কমে দাঁড়িয়েছে ২ থেকে ৩ এমবিপিএস। অথচ চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ এমবিপিএস গতির। বর্তমানে মুঠে ফোনের কলড্রপ এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি ইদানিং নিয়মে পরিণত হচ্ছে। এতে করে গ্রাহক পর্যায়ে বিড়ম্বনা বাড়ছে। মুঠোফোন কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কি জিম্মি করে ফেলেছে? তাদের কি দেখার কেউ নেই? এমন প্রশ্ন হাজারো মুঠোফোন ব্যবহারকারীর। অথচ গ্রহকসেবাই প্রধান এটি এখন একটি স্লোগানে পরিণত হয়েছে। কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ায় গ্রাহক অসন্তোষের বিষয় প্রকাশ্যে আছড়ে পড়েছে। যেমনটি দেখা গেল শনিবার ঢাকার তোপখানা রোডের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামেন। কলড্রপ এবং নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নের দাবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসাসিয়েশন।
এসময় সংগঠনটির দাবি করে, টেলিকম নেটওয়ার্কের মানোন্নয়ন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রতিযোগিতায় আনার। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সিপিবির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সংগঠনের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, করোনার মধ্যে সবকিছুই চলে কিন্তু চলে না শুধু শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষাখাত আজ ধনীদের দখলে। উচ্চমূল্যের ডেটা ও উচ্চমূল্যের ডিভাইস দরিদ্র জনগোষ্ঠীরা কিনতে পারছে না। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক নন। তার ভাষায় টেলিটককে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না এনে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদ তরঙ্গকে কুক্ষিগত করে রেখে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ২৫ জুলাই নিয়ন্ত্রক কমিশন, অপারেটরদের শীর্ষ কর্তাব্যক্তি, বিশেষজ্ঞরা, সাংবাদিকদের নিয়ে আলোচনায় একটি বিষয় সকলেই স্বীকার করেছেন স্বল্প তরঙ্গ ব্যবহারের কারণেই নেটওয়ার্কের মান এত খারাপ হয়েছে। অপারেটরদের দাবি ৩জি বিনিয়োগের অর্থ ওঠার আগে ৪জিতে বিনিয়োগ তাদেরকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে। এছাড়া ১ হাজার কোটি টাকা ১ মেগাহার্জ তরঙ্গ কিনে বিনিয়োগ করার সামর্থ্য একটি অপারেটরের থাকলেও অন্য অপারেটরদের নেই।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আবু সালেহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বককর সিদ্দিক, কেন্দ্রীয় সদস্য আমানউল্লাহ মাহফুজ প্রমুখ।