ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৭৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের  প্রভাত ফেরি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

শহিদ বিস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পৃথিবীর নানা প্রান্তে পালিত হচ্ছে। পশ্চিবঙ্গের রাজধানী কলকাতায়ও পালন করা হলো দিবসটি। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে মুজিব শতবর্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হলো মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১’। রবিবার একুশের শুরুতে উপ-হাইকমিশন চত্বরে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা অর্ধনমিত করেন বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে আয়োজন ছিলো প্রভাত ফেরির। প্রভাত ফেরিটি কলকাতার ৩ সোহরাওয়ার্দী এভিনিউতে ‘বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্র’ থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন চত্বরে এসে শেষ হয়। এতে অংশ নেন কলকাতার কবি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবী, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, সোনালী ব্যাংক লি. ইন্ডিয়া অপারেশন্স কলকাতা ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কলকাতার সকল স্বদেশভিত্তিক কর্মকর্ত-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিক, কলকাতার ভাষাপ্রেমী, এখানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী এবং বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের সদস্যরা। প্রভাত ফেরি শেষে উপ-হাইকমিশন চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক গৌতম খাস্তগীর, বিধায়ক অসিত মিত্র, বিশিষ্ট কবি বরুন চক্রবর্তী, মানিক দে, কবি ও লেখক গোপাল চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গের ইউনিসেফ প্রধান মো. মহিউদ্দিন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পরিষদের সম্পাদক গোপাল দাস ও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্পাদক ইলোরা দে প্রমুখ। মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে এ মিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সেলর (কন্স্যুলার) মো. বশির উদ্দিন, প্রথম সচিব (প্রেস) ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি।

সভাপতির বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, ‘আমাদের বাংলা ভাষা চর্চা যেন শুধুমাত্র ২১শে ফেব্রুয়ারিতেই সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং একুশের চেতনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা যেন সারা বছরই শুদ্ধ বাংলা চর্চা করতে পারি। আমাদের সন্তানদেরকে সঠিক বাংলা ভাষা শিক্ষা দিতে পারি। তাহলেই ভাষা শহীদদের প্রতি আমরা যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারবো।’

২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর গুরুত্ব তুলে ধরতে বিকালে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলকাতায় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ ভাষায় সাংস্কৃতিক বিষয় উপস্থাপন করেন। এতে অংশগ্রহণ করে ভারত, নেপাল, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইতালি, থাইল্যান্ড, ফরাসী, স্প্যানিশ ও পর্তুগীজ। অনুষ্ঠানে কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

আপডেট সময় : ০১:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের  প্রভাত ফেরি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

শহিদ বিস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পৃথিবীর নানা প্রান্তে পালিত হচ্ছে। পশ্চিবঙ্গের রাজধানী কলকাতায়ও পালন করা হলো দিবসটি। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে মুজিব শতবর্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হলো মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১’। রবিবার একুশের শুরুতে উপ-হাইকমিশন চত্বরে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা অর্ধনমিত করেন বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে আয়োজন ছিলো প্রভাত ফেরির। প্রভাত ফেরিটি কলকাতার ৩ সোহরাওয়ার্দী এভিনিউতে ‘বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্র’ থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন চত্বরে এসে শেষ হয়। এতে অংশ নেন কলকাতার কবি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবী, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, সোনালী ব্যাংক লি. ইন্ডিয়া অপারেশন্স কলকাতা ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কলকাতার সকল স্বদেশভিত্তিক কর্মকর্ত-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিক, কলকাতার ভাষাপ্রেমী, এখানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী এবং বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের সদস্যরা। প্রভাত ফেরি শেষে উপ-হাইকমিশন চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক গৌতম খাস্তগীর, বিধায়ক অসিত মিত্র, বিশিষ্ট কবি বরুন চক্রবর্তী, মানিক দে, কবি ও লেখক গোপাল চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গের ইউনিসেফ প্রধান মো. মহিউদ্দিন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পরিষদের সম্পাদক গোপাল দাস ও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্পাদক ইলোরা দে প্রমুখ। মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে এ মিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সেলর (কন্স্যুলার) মো. বশির উদ্দিন, প্রথম সচিব (প্রেস) ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি।

সভাপতির বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, ‘আমাদের বাংলা ভাষা চর্চা যেন শুধুমাত্র ২১শে ফেব্রুয়ারিতেই সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং একুশের চেতনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা যেন সারা বছরই শুদ্ধ বাংলা চর্চা করতে পারি। আমাদের সন্তানদেরকে সঠিক বাংলা ভাষা শিক্ষা দিতে পারি। তাহলেই ভাষা শহীদদের প্রতি আমরা যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারবো।’

২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর গুরুত্ব তুলে ধরতে বিকালে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলকাতায় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ ভাষায় সাংস্কৃতিক বিষয় উপস্থাপন করেন। এতে অংশগ্রহণ করে ভারত, নেপাল, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইতালি, থাইল্যান্ড, ফরাসী, স্প্যানিশ ও পর্তুগীজ। অনুষ্ঠানে কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।