ঢাকা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও লক্ষ্য উচ্চ প্রবৃদ্ধি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৬:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১ ২৫০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনার বছরেও উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার তৃতীয় বাজেট।  বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থান করা হবে।

করোনার বছরেও ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য থাকছে। সব মিলিয়ে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার বাজেটকে সামাজিক অবকাঠামো, ভৌত অবকাঠামো, সাধারণ সেবা এবং সুদ-ভর্তুকি-ঋণ প্রদানের আওতায় মোট চারটি বৃহত্তর খাতে বিভক্ত করে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে।

করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিবেচনায় আগামী বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হবে স্বাস্থ্য খাতে। এর পরেই অগ্রাধিকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন ও সারে ভর্তুকি প্রদান, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে।

সেই সঙ্গে শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়ন, পল্লি উন্নয়ন ও কর্মসৃজন, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ, গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য গৃহনির্মাণ এবং নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার থাকছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের বাজেট অধিবেশনও সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে।

বাজেটের যে আকার নির্ধারণ করা হচ্ছে, সেটি দেশের মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) ১৭ দশমিক ৫ শতাংশের সমান। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির হিসাবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের বাজেটে যে ঘাটতি ছিল, সেটি জিডিপির ৬ শতাংশের সমান। সে হিসাবে এবার বাজেট ঘাটতির আকার বড় হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, টাকার অঙ্কে প্রতি বছরই বাজেটের আকার বাড়ছে। কিন্তু করোনার এই বিশেষ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মানুষের ভোগব্যয়। এখন জোর দিতে হবে মানুষের কর্মসংস্থানে। সাধারণ মানুষের আয় বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের দুর্বলতাগুলো কাটাতে বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মোট আয়ের বা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা আছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্বের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আদায় করতে হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া এনবিআর-বহির্ভূত অন্যান্য খাত থেকে আদায় করার লক্ষ্য রয়েছে ৫৯ হাজার কোটি টাকা। করোনার এই সময়ে রাজস্ব আদায় লক্ষ্য অনুযায়ী হচ্ছে না, ফলে আগামী বাজেটে ব্যয় নির্বাহে ঋণ গ্রহণে চাপ বাড়বে।

এডিপি: বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে এডিপির আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও লক্ষ্য উচ্চ প্রবৃদ্ধি

আপডেট সময় : ০৭:২৬:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

করোনার বছরেও উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার তৃতীয় বাজেট।  বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থান করা হবে।

করোনার বছরেও ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য থাকছে। সব মিলিয়ে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার বাজেটকে সামাজিক অবকাঠামো, ভৌত অবকাঠামো, সাধারণ সেবা এবং সুদ-ভর্তুকি-ঋণ প্রদানের আওতায় মোট চারটি বৃহত্তর খাতে বিভক্ত করে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে।

করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিবেচনায় আগামী বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হবে স্বাস্থ্য খাতে। এর পরেই অগ্রাধিকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন ও সারে ভর্তুকি প্রদান, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে।

সেই সঙ্গে শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়ন, পল্লি উন্নয়ন ও কর্মসৃজন, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ, গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য গৃহনির্মাণ এবং নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার থাকছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের বাজেট অধিবেশনও সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে।

বাজেটের যে আকার নির্ধারণ করা হচ্ছে, সেটি দেশের মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) ১৭ দশমিক ৫ শতাংশের সমান। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির হিসাবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের বাজেটে যে ঘাটতি ছিল, সেটি জিডিপির ৬ শতাংশের সমান। সে হিসাবে এবার বাজেট ঘাটতির আকার বড় হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, টাকার অঙ্কে প্রতি বছরই বাজেটের আকার বাড়ছে। কিন্তু করোনার এই বিশেষ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মানুষের ভোগব্যয়। এখন জোর দিতে হবে মানুষের কর্মসংস্থানে। সাধারণ মানুষের আয় বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের দুর্বলতাগুলো কাটাতে বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মোট আয়ের বা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা আছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্বের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আদায় করতে হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া এনবিআর-বহির্ভূত অন্যান্য খাত থেকে আদায় করার লক্ষ্য রয়েছে ৫৯ হাজার কোটি টাকা। করোনার এই সময়ে রাজস্ব আদায় লক্ষ্য অনুযায়ী হচ্ছে না, ফলে আগামী বাজেটে ব্যয় নির্বাহে ঋণ গ্রহণে চাপ বাড়বে।

এডিপি: বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে এডিপির আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে।